সেমিফাইনালে শেখ রাসেল
শেখ রাসেল (আজিজভ, রাফায়েল) ২:০ চট্টগ্রাম আবাহনী- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
সেই ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি। পার্থক্য শুধু স্কোর লাইনে। আগের আসরের শেষ আটের ম্যাচে শেখ রাসেল জয় পেয়েছিল ১-০তে। গতকাল তারা দুইবার বল পাঠায় চট্টগ্রাম আবাহনীর জালে। অর্থাৎ ২-০তে ম্যাচ জিতে শেখ রাসেল এখন ১৯ ডিসেম্বর সেমিতে পাচ্ছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। হারের ফলে ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপের গতবারের ফাইনালিস্ট এবং এর আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীকে এবার বিদায় নিতে হলো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।
গত পরশু প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে কী চমৎকার ম্যাচই না উপহার দিয়েছিল আরামবাগ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। মাঝারি মানের এই দুই ক্লাবের তুলনায় কাল অপর কোয়ার্টারে মুখোমুখি হয়েছিল বড় দল শেখ রাসেল এবং চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু সে তুলনায় মোটেই দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি এই দুই দলের ম্যাচ। তা মূলত হতেও দেয়নি সাইফুল বারী টিটুর দল শেখ রাসেল। ৩৫ ও ৩৭ মিনিটে জোড়া গোল আদায় করে তারা খেলাটিকেই করে দেয় একপেশে। অবশ্য এতে বড় অবদান বন্দরনগরীর দলের ডিফেন্স লাইনের। তাদের ভুল তথা ম্যান মার্কিংয়ের দুর্বলতাই প্রতিপক্ষের দুই গোলের উৎস। ম্যাচ শেষে এই নিয়েই ক্ষোভ চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর। তার মতে, শেখ রাসেলের মতো বিগ বাজেটের এবং শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বারবার ভুল করলে এর শাস্তি তো পেতেই হবে। শেখ রাসেলের খেলোয়াড়রা কোনো ভুল করেনি। কিন্তু আমরা ভুল করে হেরেছি। আসলে টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালি আমাদের ফুটবলাররা পিছিয়ে ছিল।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল শুরু থেকেই দাপটের সাথে খেলতে থাকে শেখ রাসেল। ২৮ ও ৩০ মিনিটে গোলের দেখা না পেলেও ৩৫ মিনিটে লিড। বিশ্বনাথের ক্রসে বক্সে হেড নেন নাইজেরিয়ান রাফায়েল ওডোইন। সেই বলে উজবেক স্ট্রাইকার আজিজিভ আলিশেরের বাম পায়ের সাইড ভলিতে পরাস্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর কিপার নেহাল। দুই মিনিট পরে ব্যবধান দ্বিগুণ। বিপলু আহমেদের ক্রস এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল চলে যায় রাফায়েলের পায়ে। সেখান থেকে তার বাম পায়ের শটে অসহায় বিপক্ষ কিপার।
বিরতির পর শেখ রাসেলের দৃঢ় রক্ষণভাগ সুবিধা করতে দেয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর ফরোয়ার্ডদের। এরপরও ৫০ মিনিটে মমদু বা’র শট চলে যায় পোস্টে বাতাস দিয়ে। ইনজুরি টাইমে খালেকুজ্জামানের পাসে রাফায়েল গোল করতে না পারায় ব্যবধান বাড়েনি।
গ্রুপ পর্বে শেখ রাসেল কোনো গোল দিতে পারেনি। অথচ দুই ড্র নিয়ে তারা চলে আসে শেষ আটে। আর চট্টগ্রাম আবাহনী তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে এবং চার গোল দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আসে। কিন্তু এবার শেষ আটের বাধা পেরুতে পারেনি।
শেখ রাসেলের কোচ সাইফুল বারী টিটুর মতে, শুরুতে দুই পাওয়াতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনাও ছিল শুরুতে গোল আদায় করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা