২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


পাখি ও দু’টি ছানা

-

প্রচণ্ড তাপদাহ সারা দেশজুড়ে। সামিহার স্কুল বন্ধ। সামিহা এবার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। রোজার বন্ধের পর আজকে স্কুল খোলার কথা ছিল। কিন্তু বাবা রাতে জানাল সামিহা তোমার স্কুল তো আবার বন্ধ হয়ে গেল। স্কুল বন্ধের কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে যায়।
অনেক দিন ধরে সহপাঠী মালিহার সাথে দেখা হয় না রোজায় স্কুল বন্ধ হওয়ার জন্য। ঈদের আগের দিন রাতে সামিহা মালিহাকে মোবাইল করে ঈদের দিন বিকালে বাড়িতে আসার জন্য। সামিহা বলে, কাল বিকালে আমার বাসায় আসবি কিন্তু।
মালিহা ওপাশ থেকে বলে দেয় নারে সামিহা এবার আসতে পারব না। আমরা ঈদের দিন বিকেলে মামা বাড়ি চলে যাবো। আমার ছোট আন্টির বিয়ে তো।
সামিহা বলে, ও।
বিষাদ মনে মোবাইল রাখে। মা বলে, কী হয়েছে মালিহা আসবে না?
সামিহা বলে, মালিহা কাল মামা বাড়ি বেড়াতে যাবে। ওর ছোট আন্টির বিয়ে।
রাতে বাবার কাছে স্কুল বন্ধের কথা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। কাল স্কুলে গেলে সবার সাথে দেখা হতো।
খুব গরমের জন্য ঘরে বসে থাকা কষ্টকর। বিদ্যুৎ নেই। দুপুরে খাওয়ার পর ঘরের দরজায় বসে বাবার সাথে কথা বলছে সামিহা। বিকাল হয়ে আসছে এখনো রোদের ঝাঁঝ কমেনি।
এমন সময় চোখে পড়ে তাদের শিউলি ফুলের গাছের ডালে একটি মৌটুসী পাখি বাসা করছে। সে বাসায় দুটি ছোট বাচ্চা আছে। সারা দিন কিচিরমিচির শব্দ করে ডাকাডাকি করে। বাবার কাছে সামিহা জানতে চায় ওরা মাঝেমধ্যে খুব কিচিরমিচির করে।
বাবা বলে, ওদের ভাষায় ওদের ক্ষুধার কথা মাকে বলে, মা খিদে লাগছে খাবার খেতে দাও।
সামিহা বলে, তাই বাবা!
আজ দেখে ছানা দু’টি ঠোঁট উঁচু করে ওর মায়ের মুখের কাছে কিচিরমিচির করে ডাকছে। ছানা দুটির শরীরে রোদও পড়ছে।
সামিহা বলে, এখন এ ছানা দুটি কাঁদছে কেন?
বাবা বলে, যে গরম পড়ছে ওদের খুব গরম লাগছে।
সামিহা বলে, সত্যি বাবা! আচ্ছা বাবা এত গরম পড়ছে কেন?
বাবা বলে, দেখ আমরা দিন দিন গাছ পালা কেটে বন উজাড় করে দিচ্ছি,ঘর বাড়ি করছি তাতে কার্বনডাই-অক্সাইড বেড়ে ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা,খরা হচ্ছে। আবার দেখ বেশি বেশি বজ্রপাত পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে।
সামিহা বলে, বাবা তাহলে আমাদের কি করা উচিত?
বাবা বলে, বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। প্রয়োজনে একটি গাছ কাটলে দুটি গাছ লাগাতে হবে।
সামিহা বলে, এজন্য বাবা, স্কুলে আতিক স্যার আমাদের দিয়ে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, সুপারি গাছ রোপণ করেছেন। বাবা তোমাকে বলতে ভুলে গেছি আতিক স্যার আমাকে দিয়ে একটি সুপারি গাছ লাগিয়েছেন। স্যার আমাকে বলছেন এ গাছটি তোমার। তুমি স্কুলে আসলে প্রতিদিন পানি দেবে। আমি প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর গাছে পানি দেই।
বাবা বলে, তাই নাকি?
সামিহা বলে, হ্যাঁ বাবা।
বাবা বলে, তাহলে তো তোমার গাছটা দেখতে যেতে হবে একদিন।
সামিহা বলে, আচ্ছা বাবা তোমাকে নিয়ে যাবো স্কুল খুললে।


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আশঙ্কা হাটহাজারীতে বিপুল পরিমাণে সেগুন গাছের টুকরা জব্দ অটোচালকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে জামায়াতের উদ্বেগ পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসায় রোহিত, কী বললেন ভারতীয় অধিনায়ক? ইরানের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি সম্পর্কে যা জানা গেছে ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী দুই দেশ সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘চাপিয়ে দেয়ার’ নিন্দা রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দল আড়াইহাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪ কেমন ছিল রাইসির ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের

সকল