২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিড়ালছানা

-

নাদুসনুদুস বিড়ালছানাটির প্রতি সবাই দুর্বল। আমাদের ঘরে কোনো ছোট নেই। নেই তাদের জ্বালাতনের মিষ্টতা ও তিক্ততা। বিড়ালছানাটি অদ্ভুত সব গুণ দিয়ে ছোটর আসনেই এসে পড়ে।
যেমন মিষ্টি তেমনি ভালো। না কাউকে খামচায় আর না কামড়ায়। যেন সে সখ্যতার অসম্ভব গুণ নিয়ে এসেছে। কেউ কিছু খেলে দৌড়ে কোলে উঠবে। তারপর চোখে চোখ রেখে বলবে, মিউ। যেন সে বলছে তুমি একা খাচ্ছ কেন? আমাকেও দিও!
অনেক সময় মেহমানরা আসেন। তারা তো আমাদের বিড়ালকে চেনেন না। তাই প্রথম দেখায় কাছাকাছি হতে ভয় পান। যদি কামড়ায়।
কিন্তু সে তা বুঝবে না। ঘেঁষতে ঘেঁষতে কোলে যাবে। পান খেলেও তাতে ভাগ বসাবে।
একবার এক আন্টি পান খাচ্ছিলেন। বিড়ালছানাটি শুধু মিউ মিউ করছিল। বেচারি কোনো উপায়ান্তর না দেখে মুখ থেকে পান দিলেন।
এবার সে বুঝল, আসলে এটা তার খাওয়ার মতো না। তা দেখে সবাই তো হতবাক। হেসেও লুটোপুটি খেলেন বিড়ালছানার দুষ্টুমি দেখে।
কেউ যদি হেঁটে যায় তবে সেই হবে তার খেলার সাথী। পেছন থেকে সামনে থেকে কাপড় কামড়ে ঝুলে থাকবে। বই নিয়ে পড়তে বসলে সেও পড়তে যাবে।
বইয়ের ওপর নাচবে। কলম দিয়ে লিখতে গেলে হা করে হাড্ডির মতো চিবাতে থাকবে।
অনেক সময় স্থির হয়ে বসে থাকবে। কান দুটো মাঝে মধ্যে নাড়াবে। যেন তার জন্য সব কিছুই সুখের উপকরণ।
সবাইকে অল্প দিনেই দুর্বল বানিয়ে ফেলল। কেউ বিস্কুট কিনে খেতে দিত। মা বিড়াল শিকারে ঝাঁপ দিলে পেছনে ছানাটিও অংশ নিত।
আঙুলে হা করে কামড় দিত। কিন্তু দাঁত বসাত না। মজা করে আবার ছেড়ে দিত।
খেতে বসলে উরুতে বসবে। চোখ মেলে শুধু দেখবে, কিভাবে খাবার খাচ্ছি। মাঝেমধ্যে মাছগোছ দিলে তা-ই খাবে।
যেন সে অবুঝ প্রাণী মানুষের বুঝটুকুও নিজের ভেতর ধারণ করে ফেলেছে।
হঠাৎ একদিন সে আর আগের মতো লাফায় না, মিউ মিউ করে না। খুব দৌড়ায় না। খেতেও চায় না।
সবাই তাকে নিয়ে হতাশ হলো। কী হল রে পাজিটার?
নাহ। বুঝাই গেল না। সে আরো নিস্তব্ধ হয়ে গেল। মা বিড়ালটা বারবার বাচ্চার কাছে গিয়ে জোরে জোরে মিউ মিউ করে। আম্মু দেখে বললেন, হয়তো বাচ্চাটা মারা যাবে। তা না হলে বিড়ালটা আশা ছেড়ে কাঁদত না।
পরদিনই বিড়ালছানাটা চুলার পাশে আগুনের তাপ পোহাচ্ছিল। ভাবি রাঁধছিলেন। সেখানেই দুটা মরণ টানা ও চিৎকার দিয়ে চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল।
এখন ঘর শূন্য। কোনো দৌড়ঝাঁপ নেই। কাপড়ে কাপড়ে ঝুলে থাকার মিষ্টি বিড়ালটি নেই। যেন ঘরটাকেই নিস্তব্ধ বানিয়ে চলে গেছে।
সবাই তার জন্য অশ্রু ফেলছে। কেউ কেউ বলল, এত মিষ্টি বিড়াল আর কখনো দেখিনি।
যদি মরেই যাবে তাহলে এত মায়া দেখিয়ে গেল কেন? মা বিড়ালটি এখনো বাড়ির চতুরপাশে মিউ মিউ করে ঘুরছে!


আরো সংবাদ



premium cement
জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ চকরিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭ উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি বাগাতিপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন : বাকৃবি অধ্যাপক বৃষ্টির জন্য হাকাকার, সাভারে ইসতিসকার নামাজ আদায় বরিশালে সালাতুল ইসতিসকার আদায় অর্ধ শতাব্দীতে ভ্যাকসিন সাড়ে ১৫ কোটি লোকের জীবন বাঁচিয়েছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আল্লাহর রহমত কামনায় সকলকে সিজদাহ অবনত হতে হবে-মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন কাউখালীতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা

সকল