ইন্টেরিয়র ডিজাইন এখন আর কোনো বিলাসিতার নাম নয়। মানুষের বাসস্থানের জন্য একটি জরুরি বিষয়। মানুষ সব সময়ই সুন্দর পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। ইন্টেরিয়র ডিজাইন বাসাবাড়ি, অফিস-আদালতে যেমন নান্দনিকতা নিয়ে আসে, তেমনি জরুরি প্রয়োজনও মিটায়।
বোর্ডের ব্যবহার : যুগ যুগ ধরে বাসাবাড়ি অফিস সব জায়গায় আদালতে কাঠের ব্যবহার করা হয়ে আসছে। বর্তমানে কাঠের পরিবর্তে বোর্ডের ব্যবহার হয়ে থাকে ব্যাপকভাবে। বোর্ডকে ইঞ্জিয়ারিং উড বলা হয়। এটি দামে কম দেখতে সুন্দর পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই। বোর্ডের চেয়ে কাঠ বেশি টেকসই হলেও তা সঠিকভাবে সিজনিং করা না থাকলে শীত গ্রীষ্মে বেঁকে যায় এবং আকার কমবেশি হয়ে যায়। কিন্তু বোর্ডকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তৈরি করা হয় তাই তা বেঁকে যায় না বা আকারে কমবেশি হয় না।
বোর্ডের ধরন : বাজারে নানা ধরনের বোর্ড পাওয়া যায়। যেমন : মেলামাইন বোর্ড, ভিনিয়ার বোর্ড, এমডি এফ বোর্ড, পিভিসি বোর্ড, প্লাইউড বোর্ড ইত্যাদি। বাজেট রুচি এবং প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে কোথায় কেমন বোর্ড ব্যবহার করতে হবে। স্থান-কাল-পাত্রভেদে যেমন ডিজাইন করতে হয়, তেমনি স্থান-কাল-পাত্রভেদে বোর্ডেরও ব্যবহার করতে হয়।
বোর্ডের মাপ : সব বোর্ডেরই মাপের সাইজ এক। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৪ ফিট বাই ৮ ফিট এবং পুরু ১ মি.লি. হতে ২৪ মি.লি. পর্যন্ত হয়। আসবাবপত্র তৈরির জন্য সাধারণত ১৮ মি.লি. ও ১৬ মি.লি. পুরুত্বের বোর্ড ব্যবহার করা হয়। আসবাবপত্রের বডি তৈরির পর পেছনে ৬ মি.লি. পুরুত্বের গর্জন প্লাই ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী বোর্ডের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোথায় পাওয়া যাবে : বাসাবাড়িতে এখন প্রচুর পরিমাণে বোর্ডের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে দেশের প্রায় সব উপজেলায় বোর্ড পাওয়া যায়। ঢাকা শহরে সর্বপ্রথমে কাওরান বাজারে বোর্ডের বড় মার্কেট গড়ে ওঠে। কাওরান বাজার ছাড়াও এখন মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনানী, বাড্ডা, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ইত্যাদি এলাকায় বোর্ড পাওয়া যায়।
বোর্ডের দাম দর : বোর্ডের ধরণ ও পুরুত্ব অনুযায়ী দামদরের পার্থক্য হয়ে থাকে। সাধারণত ৬০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত বোর্ডের দাম হয়ে থাকে।