২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শেষ মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন ২৩ জন

শেষ মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন ২৩ জন। - ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছর রাষ্ট্রীয় খরচে কাউকে হজে পাঠানো হবে না সরকারিভাবে আগে এমন সিদ্ধান্ত হলেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে দেশের ২৩ জন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় খরচে পবিত্র হজে যাচ্ছেন। এসব সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চারজন, ঢাকার ছয়জন, রংপুরের তিনজন, গোপালগঞ্জ জেলার দু’জন, মাগুরার দু’জন, জামালপুরের দু’জনসহ রাজশাহী, কুমিল্লা, জয়পুরহাট, গাইবান্ধার বাসিন্দা রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান নয়া দিগন্তকে বলেন, এবার রাষ্ট্রীয় খরচে কোন হজযাত্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও এই ২৩ জনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিবেচনা করেছেন। এবার মাত্র এই ২৩ জনই রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর লাখের অধিক ব্যক্তি সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিজ খরচে পবিত্র হজ পালনে যান। এর পাশাপাশি প্রতি বছর দুই থেকে ৩০০ ব্যক্তিকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে হজে পাঠিয়ে থাকে। আগে এসব হাজিদের সম্পূর্ণ খরচ সরকার বহন করলেও গত বছর এসব হাজীদের বিমান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। এ বছর দেশ-বিদেশের অথনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাষ্ট্রীয় খরচে কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানান ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। কিন্তু শেষ মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী ২৩ জন ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেছেন।

ধর্মমন্ত্রণালয়ের গত ২০ মে এ সংক্রান্ত এক আদেশে সিলেক্ট হওয়া ব্যক্তিদের ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। জানা যায়, এ বছরও রাষ্টীয় খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিদের বিমান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা দিতে হবে। এছাড়া কুরবানি বাবদ ১ হাজার রিয়াল বা প্রায় ৩০ হাজার টাকা সাথে নিতে হবে। বাকি জনপ্রতি প্রায় ৫ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হবে।
রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনকারী ব্যক্তিরা সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী হিসেবে সরকারের সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যে উল্লেখিত সেবা পাবেন। তারা দৈনিক ভাতা বা অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি পাবেন না, তবে খাওয়া খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা হজে যাওয়ার আগে হজ অফিস থেকে দেয়া হবে। রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনকারী ব্যক্তিরা বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ১০ জুন সৌদি আরব যাবেন। একইভাবে বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুলাই বাংলাদেশে ফিরবেন তারা।

রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন যারা : ঢাকার বড় মগবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মোল্লা ও তার স্ত্রী আফিয়া হোসেন, রংপুরের মো: বাদশা আলমগীর, জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল গফুর ও তার স্ত্রী জোবাইদা বেগম, রংপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস খান, রংপুরের মো: আব্দুল কায়েম মিয়া, মাগুরা সদরের এস এম ফরিদ উজ-জামান ও তার স্ত্রী দিলশান আরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের গোপনীয় সহকারী মো: রাশেদুন নবী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসি মেকানিক মো: ইউসুফ আলী ও তার স্ত্রী জান্নাত আরা রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাবেন।

এছাড়া রাষ্ট্রীয় খরচে আরো হজে যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আরবরিকালচারের মালী সাহেব আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংলগ্ন স্টাফ কোয়ার্টার্সের সখিনা আক্তার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মো: এনামুল হক শেখ, ঢাকার গুলশানের গাজী শাহাদাৎ হোসেন, কুমিল্লার মো: নূরুল ইসলাম, রাজধানীর উত্তর আদাবরের অধ্যক্ষ (অব.) পিএম মনসুর রহমান, গাইবান্ধার মো: নুরুল হোসেন খন্দকার, ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীর জামাল উদ্দিন মো: আকবর ভূঁইয়া, জয়পুরহাটের দেওয়ান মাহবুবার রহমান এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শাহাদাৎ শেখ।


আরো সংবাদ



premium cement