১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

অপবাদ দেয়া কবিরা গুনাহ

- ছবি : সংগৃহীত

আমাদের সমাজে অনেক অপরাধ ঘটে প্রতিনিয়ত। তবে কারো অপরাধ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা ইসলাম অনুমোদন করে না। নির্ভরযোগ্য দলিল-প্রমাণ ছাড়া শুধুই সন্দেহ ও অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে দোষারোপ করা বা অপরাধ চাপিয়ে দেয়াকে ইসলামের পরিভাষায় অপবাদ বলা হয়। অপবাদ দেয়া বড় গুনাহ।

সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ এবং ভয়াবহ অপরাধ। নিরপরাধ ব্যক্তিকে হিংসাবশত বা অজ্ঞতা ও সন্দেহের কারণে অপরাধী সাব্যস্ত করার প্রবণতা অনেকেরই রয়েছে। অপবাদ দেয়া ভুক্তভোগীর জন্য যেমন ক্ষতির কারণ, অপবাদদাতার জন্যও তা ক্ষতিকর। অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেকেও অনেক পেরেশানি পোহাতে হয়। আর পরকালে অপবাদের শাস্তি তো আছেই।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি কোনো অপরাধ করে অথবা পাপ করে তা কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দেয়, সে নিজের মাথায় বহন করে জঘন্য মিথ্যা ও প্রকাশ্য গুনাহ।’ (সূরা নিসা, আয়াত : ১১২)

অপবাদ মানুষের সম্মান ও সম্পদ ধ্বংস করে; এমনকি অপবাদের কারণে মানুষের জীবননাশও ঘটে। অথচ রাসূলুল্লাহ সা: এ কাজগুলোকে সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের সবকিছু হারাম—তার জীবন, সম্পদ ও সম্মান।’ (বুখারি শরিফ : ৬০৬৪)

কাউকে অপবাদ থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসা সওয়াবের কাজ। রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে মানসম্মান হারাতে দেখেও সাহায্য করা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকেও সাহায্য পাওয়ার স্থানে সাহায্য করবেন না। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে মানসম্মান হারাতে দেখে সাহায্য করে, আল্লাহ তাকে সাহায্য পাওয়ার স্থানে সাহায্য করবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৮৮৪)


আরো সংবাদ



premium cement