২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২৫

রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২৫। - ছবি : নয়া দিগন্ত

পিঠা উৎসবে বসা নিয়ে বিরোধের জেরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এসময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত ঘটে এই সংঘর্ষ।

জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসবের দিন পার্কের মোড়ের একটি চায়ের দোকানে বসা নিয়ে শিক্ষার্থী ও পার্কের মোড় এলাকার যুবকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় কয়েক যুবক ক্যাম্পাসে ঢুকে লোক প্রশাসন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন রানাকে তুলে পার্কের মোড়ে নিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হল ও মেস থেকে শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হয়ে আসে। শুরু হয় স্থানীয়দের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। বন্ধ হয়ে যায় লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ। এলাকার যুবকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢিল ছোঁড়ে ও ভাংচুরের চেষ্টা চালায়।

খবর পেয়ে সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। দু’পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারুকের অবস্থা গুরুতর। তাদেরসহ মোট চার শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া ও হামলার বিচার না হলে আন্দোলনে যাবে তারা।

রংপুর মেট্রোপলিন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, লাঠিচার্জ, কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দাবি এ ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের হসপিটালে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো ও সমঝোতা করা যায় কিনা ভাবা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement