বন্ধু হত্যার দায়ে তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড
- ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা
- ২৯ অক্টোবর ২০২০, ২০:০৪
ঠাকুরগাঁওয়ে রেজাউল ইসলাম নামে এক যুবককে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও আগুনে পুড়িয়ে লাশ গুমকরার চেষ্টার দায়ে তিন বন্ধুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিএম তারিকুল কবীর এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, সুইট আলম (২৯), মেকদাদ বিন মাহাতাব ওরফে পলাশ (২৯) ও হাসান জামিল (৩২)।
রেজাউল দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার আন্ধারমুহা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। এছাড়া আসামি সুইট আলম নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বারিল্যা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে, মেকদাদ বিন মাহাতাব ওরফে পলাশ দিনাজপুর জেলার চিবিরবন্দর থানার দক্ষিণ পলাশবাড়ি গ্রামের মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে এবং হাসান জামিল ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার ভানোর সরকারপাড়া গ্রামের বজির উদ্দীনের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, রেজাউল ইসলাম স্থানীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি ওয়ার্ল্ডভিশন-২১ নামে একটি মাল্টিলেভেল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। একই সাথে চাকরি করার সুবাদে আসামিদের সঙ্গে রেজাউলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তারা সকলে মিলে দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে গিয়ে ওই কোম্পানির নতুন অফিস খোলার কাজ করা কালে রেজাউলের মোটরসাইকেলের প্রতি অপর বন্ধুদের চোখ পড়ে।
তারা ওই মোটরসাইকেলটি নিজেরা হাতিয়ে নিতে রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাকে আসামি হাসান জামিলের বাড়ি এলাকায় জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর এলাকায় নিয়ে যায়।
২০১৫ সালের ৪ মার্চ সন্ধ্যায় আসামিরা সকলে মিলে রেজাউল ইসলামকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কৈমারী গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান। পূর্ব পরিকল্পনা মতো তারা রেজাউল ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার পরণের কাপড় ও বাঁশঝাড়ের শুকনা ডাল-পাতা দিয়ে লাশ আগুনে পুড়িয়ে বিকৃত করে।
মামলার এজাহার, আসামিদের স্বীকারোক্তি ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই রায় প্রদান করেন। আসামি হাসান জামিল ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।