ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ গাছপালা উপড়ে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে ঘর-বাড়ি এবং উঠতি বোরো ধানের আবাদ। মারা গেছে শিশুসহ দুই নারী। বন্ধ আছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিকল ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, উপকূলে আঘাত হানার সাথে সাথেই ঝড়ো হাওয়া সাথে বৃষ্টি বইছে রংপুরে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই। রাত দশটা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঝড়ের তাণ্ডবে ইতোমধ্যেই রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ গাছপালা উপড়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে ঘরবাড়ি গাছের ডাল উপরে বদরগঞ্জের মাদাই খামার এলাকায় মারা গেছেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম। অন্যদিকে সকালে রংপুরের মিঠাপুকুরে ভাংনি এলাকায় গাছের ডালে মারা গেছে নাহিদ নামের একশিশু।
দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বিকেল চারটায় রিপোর্ট লেখার সময় প্রবল বেগে বইছে বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া। আমফানের তাণ্ডবে এই অঞ্চলের উঠতি বোরো, ভূট্টা এবং সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিস জানিয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাচ্ছে না।
আবহাওয়া অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন ২৪ ঘণ্টা পর বলা যাবে এই অবস্থার উন্নতি কবে হবে।
এদিকে আমফানের তাণ্ডবে নগরী এবং আশেপাশের জেলা উপজেলাগুলোতে খোলা থাকলেও দোকানপাটে লোকজন ছিল না।সে কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তেমন কোন বেগ পোহাতে হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা