জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর মহানগর সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, সিটি মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো পবিত্র ঈদ উল আযহার নামাজ আদায় করার সৌভাগ্য হলেও আমার মনের মধ্যে বিশাল এক ক্ষত সৃস্টি হয়ে আছে। কারণ যার বদৌলতে আমি সিটি মেয়র হয়েছি, এর আগের প্রতিটি কোরবানীর ঈদ আমি আমার সেই রাজনৈতিক পিতা সাবেক প্রেসিডেন্ট পল্লীবন্ধুর পাশে থেকে আদায় করেছি। তার সাথে কোলাকুলি করেছি। তার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছি। কিন্তু তিনি আজ নেই। তাকে ছাড়া আর কোন ঈদ আমার জীবনে আনন্দ বয়ে আনবে না। আমরা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই ঈদের দিনে হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছি, আমরা কাকে হারিয়েছি।
রোববার কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ঈদ-উল-আজহার নামাজ শেষে তিনি নয়া দিগন্তকে এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মাহমুদুর রহমান টিটু, মেয়রের একান্ত সহকারি সচিব কাজী জাহিদ হোসেন লুসিডসহ নেতাকর্মীরা।
এসময় মেয়র বলেন, এরশাদ স্যার বেঁচে থাকলে আমাদের নেতাকর্মী ও রংপুরের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভিন্নরকম আনন্দ বিরাজ করতো। তিনি সবার সাথে মিশে থাকতেন। মনেই হতো না তিনি একজন সাবেক সেনা প্রধান কিংবা সাবেক প্রেসিডেন্ট। তিনি ঈদের দিন আমিসহ আমার স্ত্রী ও দুই কন্যার খোঁজ খবর নিতেন। সেই খোঁজ খবরে ছিল ভিন্নরকম আন্তরিকতা। তিনি আমার শুধু রাজনৈতিক পিতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমার একজন সফল অভিভাবক। সেই অভিভাবককে ছাড়া ঈদ আসলে সেরকম ভাবে করা যায় না।
তিনি বলেন, স্যার ১৬টি করে গরু বিভিন্ন জায়গায় কোরবানী দিতেন। আমার সেই সামর্থ নেই। তবুও ক্ষুদ্র সামর্থের জন্য স্যারের রুহের মাগফেরাত কামনায় আমি তার প্রতিষ্ঠিত এরশাদ নগর এবং শাপলা চত্বরে রিকশা শ্রমিক পার্টির জন্য দুটি গরু কিনে কোরবানী দিয়েছি। আল্লাহ যেন স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। এসব বলতে বলতে চোখের পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে নগরপিতা মোস্তফার। তাঁর চোখের পানি দেখে উপস্থিত সবার চোখেও পানি এসে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা