স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও একটি সেতুর নির্মাণের স্বপ্ন পূরুণ হয়নি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ও বাহাগিলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামবাসীর। এখনো একটি বাঁশের সাঁকোয় তাদের একমাত্র ভরসা। যমুনেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত ভাঙ্গাগড়ার এই সাঁকোটি ৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন।
পশ্চিমে বাহাগিলী পূর্বে চাঁদখানা ইউনিয়ন। এর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনেশ্বরী নদী। এই দুই ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরে সাথে যোগাযোগ করে থাকে। সেতুটি ভেঙ্গে গেলে সাতরিয়ে অথবা ১০ কিশোমিটার ঘুরে তাদের কিশোরগঞ্জ আসতে হয়। বাহাগিলী মাছুয়াপাড়া, সরকারপাড়া,ও গুচ্ছে গ্রামের বাসিন্দা এয়ামিন,ফরিদ হোসেন, মোকলেছার রহমান ও সাদা মাস্টার বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও আমাদের দুঃখ ঘোচেনি। আমাদের একটি সেতুর স্বপ্ন আজো পূরণ হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের সময় অনেক নেতাই সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো নেতাই তাদের দেয়া কথা রাখেননি।
বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান দুলু শাহ বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে মাছুয়াপাড়া ঘাটে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য আমি প্রায়ই প্রস্তাব উত্থাপন করি। কিন্তু প্রশাসন প্রস্তাবটি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে না। নগরবন গ্রামের বাসিন্দা ও চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, সাবেক এমপি শওকত চৌধুরীর সাথে ওই ঘাটে ব্রীজ নির্মাণের জন্য আমি একাধিকবার যোগযোগ করেছি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি তা রক্ষা করেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী কেরামত আলী নান্নর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাছুপাড়া ঘাটে সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা