কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ভুলে ভরা প্রশ্নপত্র নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সে পরীক্ষা বাতিল করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এছাড়া অন্য পরীক্ষাগুলো স্থগিত ঘোষণা করেছে।
গত ২৩ এপ্রিল ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ১১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (অভিন্ন প্রশ্নে) প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় শ্রেণির পরিবেশ পরিচিতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রশ্নপত্রে সাতটি প্রশ্ন থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। ওই প্রশ্নপত্রের ৩নং প্রশ্নে বলা হয় কাবারের আগে ও পরে কি করতে হয়? প্রশ্নটি হওয়ার কথা খাবারের আগে ও পরে কি করতে হয়। ৪নং প্রশ্নে বলা হয় খাবারের নানা ধরণের ফুল দেখতে পাই। আমাদের পরিচিত পাঁচটি ফুলের নাম বল। প্রশ্নটি হওয়ার কথা বাগানে নানা ধরণের ফুল দেখতে পাই। আমাদের পরিচিত পাঁচটি ফুলের নাম বল। ৫নং প্রশ্নে বলা হয়েছে আমাদের জাতীয মাছের নাম কি? জাতীয এর জায়গায় হবে জাতীয় মাছের নাম কী। ৭নং প্রশ্নে বলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পিতার নাম কী? জাতীয় পিতার স্থানে হওয়ার কথা জাতির পিতার নাম কী? এছাড়া একই প্রশ্নপত্রে কী দিয়ে প্রশ্ন করতে কখনও ই-কার কখনও ঈ-কার ব্যবহার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ওই দিন তড়িঘড়ি করে পরিবেশ পরিচিতি পরীক্ষা বাতিল এবং শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত, চারু ও কারু, ধর্ম ও নৈতিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, আমরা শুধু প্রশ্নপত্র তৈরি করে অফিসে জমা দিয়েছি। অফিস থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা অফিস থেকে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা নিয়েছি।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মুকুল চন্দ্র বর্মন জানান, প্রশ্নপত্র ভুলের কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা