রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা ধাপেরহাটে ছাত্রীকে একটি বাড়িতে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারী থেকে ১৭ জানুযারী পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রচার হয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপেজলার চতরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উক্ত ছাত্রী গত ১২ জানুয়ারী বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রকৃতির ডাকে চতরা ধাপেরহাট টেম্পু ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এমদাদুল হকের ভাড়া বাসায় গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। এক পর্যায়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ব্যাপক রক্তপাত হলে বাড়ির মালিকের সহযোগিতায় তার চিকিৎসা করা হয় এবং মেয়েটিকে আটকে রাখা হয়। এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় অবিভাবকরা বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিতে থাকেন। প্রায় ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গোপনে সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসী ১৭ জানুয়ারী ওই ছাত্রীকে এমদাদুলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এসময় ছাত্রীটি এলাকাবাসী ও পরিবারের কাছে তাকে ওই বাড়িতে আটকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে তথ্য দেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় মাহফুজার রহমান, বাড়ির মালিক এমদাদুল ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগম, গোলাম মোস্তফা, আলমগীর, খোকন ও জিয়াসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতার মা। এ ঘটনায় মাহফুজার রহমান ও বাড়ির মালিক এমদাদুল হকের স্ত্রী শিরীনাকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষিতার ফরেনসিক রিপোটর্টের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্র জানান, স্কুলছাত্রীটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে সেখানে বাড়ির মালিকের স্ত্রী শিরিনার সহযোগিতায় আসামীরা তাকে গনধর্ষণ করে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। মেয়েটির ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা