১৭ জুন ২০২৪
`

রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি

রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি - প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানিয়েছে, এদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন রোববারও (২১ এপ্রিল) একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল রেকর্ড হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ এপ্রিল রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৪ এপ্রিল রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গেল সপ্তাহ থেকে রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্ক থাকতে মাইকিং করেছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। তারা এই গরমে হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে সতর্কতামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে। এছাড়া বুধবার থেকে একই ধরনের কর্মসূচি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

তীব্র তাপদাহে করণীয় নির্ধারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভা কক্ষে আয়োজিত সভায় জানানো হয়, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে মহানগরীর দশটি পয়েন্টে সারা দিনব্যাপী স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করা হবে। সেখানে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানসমূহ হলো আদালত চত্বর, সিঅ্যান্ডবি মোড়, সাহেব বাজার, রানী বাজার, নিউমার্কেট, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর, স্টেশন, বাস টার্মিনাল, আম চত্বর, ভদ্রা মোড় ও বিনোদপুর মোড়। এছাড়া তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে সচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট বিতরণ করা হবে। সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম ও মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা, নগরীর সব মসজিদে প্রচারণা করা হবে। তাপদাহে আক্রান্ত সকল রোগীকে স্বল্পমূল্যে জরুরি সেবা প্রদানে সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিঠি দেবে সিটি করপোরেশন।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, টানা তীব্র খরার কবলে পড়েছে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি। এতে করে ঝরছে গাছে থাকা আমের গুটি। বিশেষ করে ফসলি জমিতে থাকা ধান, ভুট্টা ও পাটের ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষকদের জমিতে বেশি বেশি সেচ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement