২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জীবননগরে স্বর্ণের বারসহ ২ চোরাকারবারি আটক

জীবননগরে স্বর্ণের বারসহ ২ চোরাকারবারি আটক - ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে স্বর্ণের বারসহ নাজমুল (৩২) ও ওবায়দুল্লাহ (৫৫) নামে দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি ও সিআইডির সদস্যরা।

মঙ্গলবার সকালে জীবননগর উপজেলা থেকে সিআইডি পুলিশ তিনটি স্বর্ণের বারসহ ওবায়দুল্লাহকে আটক করে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গয়েশপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা জীবননগর-গোয়ালপাড়া সড়কের মোল্লা ব্রিকসের সামনে থেকে নাজমুলকে চারটি স্বর্ণের বারসহ আটক করেন। এ সময় মজিদ (৩০) নামের আরেক চোরা কারবারি পালিয়ে যান।

বিজিবির সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের শখের আলীর ছেলে নাজমুল ও একই গ্রামের হাকিম আলীর ছেলে মজিদ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেশ কিছু স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের উদ্দেশে সীমান্তের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় বিজিবির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে নাজমুলকে আটক করেন এবং তার থেকে ৪৪৯.৫৩ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন। ঘটনার সময় মজিদ পালিয়ে যায়।

অপরদিকে ওবায়দুল্লাহ জীবননগর বাজারপাড়ার মৃত ফয়জুল্লাহ মোল্লার ছেলে। সে আন্তঃজেলা স্বর্ণ চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি তিনটি স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় জব্দকৃত স্বর্ণের মালিক দাবি করে আদালতে আবেদন করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা সংস্থার সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল্লাহ জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে জেলার স্বর্ণ পাচার সিন্ডিকেটের মুল নায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। জেলায় ইতোপূর্বে তার সকল স্বর্ণের চালান জব্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি মামলার ঘটনায় আটককৃত স্বর্ণের মালিক দাবি করে আদালতে আবেদন করেন তিনি। এ সব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ দিকে ওবায়দুল্লাহ আটকের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক মন্তব্য করতে দেখা যায়। তাকে অনেকেই স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে মন্তব্য করেন।


আরো সংবাদ



premium cement