বগুড়ার ধুনটে ফরিদ উদ্দিন নামের এক বখাটের হাত থেকে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে লাঠিপেটা করায় শিউলী খাতুন নামের এক গৃহবধূকে তার দেড় বছরের শিশু কন্যাসহ আটক করেছে পুলিশ। ১৪ ঘন্টা হাজতবাস করার পর পুলিশ তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
একই সাথে তার স্বামী আব্দুল বারিক ও ভাসুর আনিছুর রহমান ও জা রেখা খাতুনকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ধুনট উপজেলার মধুপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের স্ত্রী শিউলী খাতুনকে ধেরুয়াহাটি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মথুরাপুর বাজারের পাহারাদার ফরিদ উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে উত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ দরবার হয়। এরপরও ফরিদ উদ্দিন ওই পথ থেকে সরে যায়নি।
শিউলী খাতুন জানায়, মঙ্গলবার তার স্বামী কোনাগাতি গ্রামে বেড়াতে যায়। রাতে তার বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। সুযোগ পেয়ে বখাটে ফরিদ শিউলীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিউলী চিৎকার দিলে পাশের ঘরে থাকা তার জা রেখা খাতুন বেরিয়ে আসে। পরে শিউলী ও রেখা বখাটে ফরিদকে লাঠিপেটা করে।
এক পর্যায়ে ফরিদের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায়। ফরিদের আত্মীয়-স্বজন আহত ফরিদকে প্রথমে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক হলে রাতেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এঘটনায় ফরিদ উদ্দিনের ভাই ফটু মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে রাতেই থানায় একটি অভিযোগ দেয়। পুলিশ ওই রাত ১২টায় শিউলী খাতুন, রেখা খাতুন, আব্দুল বারিক আনিছুর রহমানকে আটক করে।
শিউলীর অপর ভাসুর মহসীন আলী জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড করে আমার ভাইয়ের স্ত্রী শিউলীর কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু কন্যাসহ দুই ভাই ও তাদের স্ত্রীকে আটক করে। ১৪ ঘন্টা থানা হাজতে আটকে রেখে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূকে উত্যক্ত করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। এছাড়া আহত ফরিদ উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই শিউলীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং বুধবার দুপুরে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা