অধুনা রাজধানী ঢাকার সড়কে, রাজপথে শৃঙ্খলা আনয়নের মহাকর্মযজ্ঞে হাত দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশÑ ডিএমপি। কাজটি বড়ই কঠিন। বাস্তবায়নযোগ্য বাস্তবসম্মত প্ল্যানপ্রোগ্রাম গ্রহণপূর্বক সেগুলো কার্যকর করার ঠিক দিকনির্দেশনা ও সেইসাথে এসব কাজে সংশ্লিষ্ট কায়েন্টদের যথাসময়ে ও যথাযথভাবে উদ্বুদ্ধ করে সহযোগী করতে না পারলে তেমন উপকার ও সুফল লাভ করা কঠিন হবে মর্মে বিশিষ্টজন ও সাধারণ মানুষ মনে করতে পারেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে নগরে বসবাসকারী বিশেষত সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষজন ওয়াকিবহাল হলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মহানগরীর প্রধান সড়কগুলোয় লেগুনা চলাচল করতে দেয়া হবে না। সেইসাথে ১২১টি স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বাসে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই স্থানগুলো চিহ্নিত করে দেয়া হবে। আর যেসব মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেট থাকবে না, পেট্রলপাম্প থেকে তাদের জ্বালানি দেয়া হবে না। গত ৪ সেপ্টেম্বর ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা কার্যকরভাবে নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শুরুতে ঢাকা সেনানিবাসের জাহাঙ্গীর গেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার এই মডেল বাস্তবায়ন করা হবে। পরে তা রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে। গাড়িগুলো যেন সারিবদ্ধভাবে চলে, যত্রতত্র যেন পার্কিং না হয় এবং সবাই যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে, সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করাই এর উদ্দেশ্য। ‘আইন ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার। এই কাজে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে রোভার স্কাউট গার্লস গাইড ও অন্যরা। প্রতি পালায় ৩২২ জন স্কাউট বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে সুনিশ্চিত করবÑ ঢাকা মহানগরীতে কোনোভাবে লেগুনা চলবে না। লেগুনা চলবে শহরের বাইরে, যেখানে তাদের রুট পারমিট দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঢাকা মহানগরীতে এগুলো চলতে দেয়া হবে না।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এ মর্মে আরো নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে, ঢাকা মহানগরীর চৌহদ্দির মধ্যে ১২১টি বাস স্টপেজ সাইনবোর্ড বসানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এসব স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস থামানো যাবে না এবং কোথাও দরজা খুলতে পারবে না বাসগুলো। যাত্রীরাও স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে পারবেন না। প্রতিটি বাসে চালক ও তার সহকারীদের ছবি টাঙাতে মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গাড়ি চালাতে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স সাথে থাকতে হবে। গাড়ির মালিকেরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনোভাবেই ড্রাইভার নিয়োগ দেবেন না। আর শ্রমিকদের সাথে দৈনিক চুক্তিতে বাস চালানো যাবে না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘যে বাসগুলো চলবে সেগুলোর ড্রাইভারদের বেতনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যারা চুক্তিতে গাড়ি দেবে, তাদের রুটপারমিট বাতিল করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ যেখান-সেখান দিয়ে দৌড়ে রাস্তা পারাপারের প্রবণতা আর মেনে নেয়া হবে না বলেও জানানো হয়। এতে বলা হয় ফুট ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার না হলে সাজা পেতে হবে।
অতিরিক্ত রিকশার কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মফস্বল শহরে চলার অনুমতি থাকা রিকশাও এখন রাজধানীতে চলে নিয়মবহির্ভূতভাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ঢাকার রাস্তার শৃঙ্খলা আনতে এর আগেও লেন ব্যবস্থা, সড়কে কাঁটা বসানো, পুরো শহর ক্যামেরার আওতায় আনাসহ নানা উদ্যোগ পুলিশ নিয়েছিল। যার প্রায় সবাই ব্যর্থ হয়েছে। বছরব্যাপী যানজট, ভাঙাচোরা বাসের ইচ্ছেমাফিক চলাচল, শিশু-কিশোর চালকদের বেপরোয়া চালনা, লেগুনা ও অটোরিকশার চালকদের দৌরাত্ম্য প্রভৃতি নিয়েই চলতে হচ্ছে ঢাকার মানুষকে।
ডিএমপি কমিশনার বিশেষভাবে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে লেগুনা চলার কথা নয়। সুনিশ্চিত করব যে, ঢাকা মহানগরীতে কোনো ধরনের লেগুনা চলবে না। এটা চলবে শহরের বাইরে ফিডার রোডে, যেখানে তাদের রুট পারমিট দেয়া হয়েছে। যেমনÑ বছিলা, তিন শ’ ফিট সড়ক।’
তবে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে লেগুনা মালিকেরা বলছেন, তারা রুটপারমিট নিয়েই ব্যবসায় করছেন। গাবতলী থেকে মহাখালী চলাচলকারী গাড়িগুলোর মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, প্রতি বছরই রুট পারমিট হালনাগাদ করাই। রুটপারমিটে লেখা থাকে গাড়িটি গাবতলী থেকে টেকনিক্যাল, শিশুমেলা, মহাখালী হয়ে গুলশান-১ পর্যন্ত চলতে পারবে।
বিআরটিএ’র একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ঢাকায় চলাচলের জন্য কয়েক হাজার লেগুনার রুটপারমিট দেয়া আছে। তবে ঢাকার রুটপারমিট দেয়ার এখতিয়ার ঢাকা মহানগর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (মেট্রো আরটিসি)। এর সভাপতি হলেন ডিএমপি কমিশনার। মেট্রো আরটিসি চাইলেই রুটপারমিট বাতিল করতে পারে। ওই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার সব বাস ছয়টি কোম্পানির মাধ্যমে চলার পরিকল্পনা জানিয়ে কমিশনার বলেন, ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচলের একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অন্য পক্ষগুলো ছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যুক্ত আছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় ডিএমপি যদি ছয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচলের কার্যক্রম শুরু করতে পারে, তবে তা হবে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যদি কার্যকর ও সুচারুভাবে তদবিরের ঊর্ধ্বে, শুরু থেকে প্রাথমিকভাবে ৯০ দিন, অর্থাৎ তিনটি মাস তা পরিচালনা করা যায়, তবে নগরবাসী আশা করতে পারবে, এ কার্যক্রম থাকবে এবং তা উত্তরোত্তর মজবুত হবে। তবে মূল কথা হলো, উল্লিখিত কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করার আইনসম্মত এখতিয়ার বিআরটিএ’র, যে সংস্থাটি তা বাস্তবায়নে অবশ্যই ডিএমপি, দুই সিটি করপোরেশন ও অন্যদের সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে এবং তা প্রয়োজনও বটে।
রাজপথ বা সড়কে শৃঙ্খলা আনয়নে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম ধাপে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত ‘মডেল করিডোর’ চালুর কথা বললেন ডিএমপি কমিশনার। এ পথে অটো সিগন্যালে গাড়ি চলাচল করবে এবং সব ধরনের শৃৃঙ্খলা ও নিয়ম মেনে চলা হবে। এটিকে মডেল হিসেবে ধরে ঢাকার অন্যান্য জায়গায়ও ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা আছে পুলিশের। তাদের আশা, এই এক মাসে ঢাকার রাস্তায় কিছু পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।
পাশাপাশি পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে এবং সেইসাথে পথচারীদের চলাচলে সুবিধার জন্য ফুটপাথগুলো মুক্ত করার কাজও এ মাসে চলবে মর্মে ঘোষণা করা হয়। তবে রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা প্রয়োজনের ১০ শতাংশও যে নেই, সে সম্পর্কে কে ব্যবস্থা নেবে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নির্বাক।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত এক পত্রিকার পক্ষ থেকে বাসে, ট্রাকে বিশেষত লেগুনায় চাঁদাবাজি বিষয়ে মালিকদের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, পরিবহন খাত থেকে মালিক-শ্রমিক নেতারা প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন। পুলিশকে দিতে হয়। লেগুনাস্ট্যান্ড যেসব এলাকায়, সেসব এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের দিতে হয়। সব মিলিয়ে বাস ও লেগুনা মালিকদের কাছে সবচেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি। আর এ সমস্যা নিরসনে ‘লাগাম’ টানতে কে উদ্যোগ নেবেন সে বিষয়ে কোনো তরফ থেকে ‘আওয়াজ’ খুব একটা শোনা যায় না। তা ছাড়া হেলমেট ছাড়া পেট্রলপাম্প থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা যাবে না মর্মে যে, বাধ্যবাধকতা আরোপের কথা বলা হয়েছে, তাতে অবস্থার খুব একটা হেরফের হবে বলে আশা করা কষ্টকর হতে পারে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ঢাকার রাজপথে প্রতিদিন ২৭১টি নতুন মোটরসাইকেল এবং সারা দেশে প্রতিদিন এক হাজারেরও অধিক নতুন মোটরসাইকেল সংযুক্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় বলা যায়, দেশে ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল মহামারী শুরু হয়েছে। সামনে এটি কী রূপ ধারণ করবে আন্দাজ করতেও ভয় হয়।
ডিএমপি কমিশনার একাধিকবার বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোরদের আন্দোলন পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে এ প্রসঙ্গে একটি বিষয় সংশ্লিষ্টরা এড়িয়ে গেছেন, এ আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং বিবেকের তাগিদে। সেজন্য শিশু-কিশোরেরা কারো কাছ থেকে নৈতিক সমর্থন ছাড়া আর্থিক বা বৈষয়িক কোনো সাহায্য সহযোগিতা নেননি। স্কুল কলেজ ছেড়ে ‘যদি তুমি ভয় পাওÑ তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াওÑ তবে তুমি বাংলাদেশ’ স্লোগান বুকে ধারণ এবং মেঘবৃষ্টি প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ অগ্রাহ্য করে রাস্তায় শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য কর্তৃপক্ষের চোখে আঙুল দিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে শিক্ষাঙ্গন থেকে বেরিয়ে এসেছিল। আর এখন সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে মাসব্যাপী সবাইকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করতে স্কাউটস, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা পুলিশের সাথে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে। আর এতে অনেক খরচের একটা বিষয় আছে, যার সাথে ইতঃপূর্বের একান্ত নিজস্ব উদ্যোগ, বিবেকের তাগিদ ও নিজ খরচে শিশু-কিশোরদের সড়ক নিরাপত্তা কাজে আন্দোলনে রাজপথ চষে দায়িত্ব পালন করাকে ‘এক পাল্লায়’ মাপা অনৈতিক।
ওপরে বর্ণিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ রাজধানীর সড়কে নিয়মশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্যোগে কামিয়াবি লাভ করতে হলে কয়েকটি বিষয়ে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল থেকে তৎপর থাকলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
যেমন- ক) বিআরটিএ তথ্য মতেÑ মূলত ঢাকায় এবং সারা দেশে প্রতিদিন ১৫৫ থেকে ২৫৫টি ইঞ্জিনচালিত গাড়ি যুক্ত হচ্ছে। আর সারা দেশে প্রতি দিন যুক্ত হচ্ছে প্রায় সহস্রাধিক মোটরসাইকেল এবং ঢাকা মহানগরীতে ২৭১টি নতুন মোটরসাইকেল। খ) বাস, ট্রাক ইত্যাদি বেশির ভাগের মালিক ক্ষমতাবানেরা, যাদের উল্লেখযোগ্য অংশীদার হচ্ছেন বিভিন্ন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তাদের স্বজনেরা। গ) মহানগরসহ দূরবর্তী বা মধ্য দূরবর্তী গন্তব্যে বাস-ট্রাক চলাচলে প্রতি ক্ষেত্রে চাঁদা আদায়ের পরিমাণ দাঁড়ায় স্বাভাবিক জ্বালানি ড্রাইভার বা স্টাফদের বেতনের প্রায় দুই-তিন গুণ বেশি। ঘ) বাস, ট্রাক মালিক পক্ষ গাড়িচালকের ৯০-৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তাদের কোনো নিয়োগপত্র প্রদান করেন না।
ইস্যুগুলো ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী প্রক্রিয়া বা এ সুরাহা করবেন, সে বিষয়ে যথাযথ গুরত্ব দিলে সড়ক-মহাসড়ক কিংবা রাজধানীর রাজপথে অনিয়ম দূর করার ক্ষেত্রে অনেকটা সক্ষম হবেন মর্মে আশা করা যায়। হ
লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার, প্রেসিডেন্ট, চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব লজিসটিকস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট, বাংলাদেশ কাউন্সিল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা