৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জনতার আর্তনাদে ঈদ অর্থবহ হয়নি : ড. রেজাউল করিম

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। দেশ ও জাতি ঈদ উদযাপন করলেও মজলুম ও অধিকার হারা জনতার আর্তনাদের তা মোটেই অর্থবহ হয়নি।’

সোমবার লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজানে লাগামহীন মূল্যস্ফীতি কারণে কোনো শ্রেণীর মানুষের সিয়াম ও কিয়াম পালন স্বস্তিদায়ক ছিল না। বাজার সিন্ডিকেটসহ সরকার সংশ্লিষ্ট অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়িরা এ জন্য দায়ী হলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি। মাহে রহমানের পবিত্রতা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব হলেও সরকার এক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। সারা মাস ধরেই চলেছে বেহায়নাপনা ও অশ্লীলতা। এমনকি ইফতার মাহফিল ও রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় সরকার সংশ্লিষ্টদের হামলার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে তারা ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি। তাই এই অপশক্তির হাত থেকে দেশ, জাতি ও ইসলামকে বাঁচাতে হলে এদের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি ঈদকে অর্থবহ ও দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ গণতন্ত্রের নামে একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে। সরকার নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা হয়েছে। দলীয়করণ করা হয়েছে দেশের বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সকল অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে। তাই জনগণের ভোট ও ভাতের ফিরিয়ে একটি বড় পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি সেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ও দেশ এবং জাতিকে মুক্ত করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

ইউনিয়ন আমির আবু বকর সিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমির এম এস মোল্লা ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন নাজমুল ইসলাম শামীম।

আরো বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা সহকারী মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ছাত্র শিবির নেতারা, ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের নেতারা, স্থানীয় প্রবাসীরা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

এছাড়াও ৯ নম্বর উত্তর জয়পুর দত্তপাড়া, মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, দিঘলি, কূশাখালী, হাজিরপাড়া ইউনিয়নে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

ড. রেজাউল করিম গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement