অবিচল থেকে আন্দোলনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে : বুলবুল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৭
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202401/807105_173.jpg)
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল থেকে বাংলার জমিনে ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রীতি সমাবেশ-২৪-এ তিনি এ কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশসহ সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতারা এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
প্রীতি সমাবেশে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আমাদেরকে ব্যক্তি জীবন, কর্মজীবন ও পারিবারিক তথা বৈবাহিক জীবনে ইসলামের বিধি-বিধান সম্পূর্ণ রূপে মেনে চলতে হবে। তাহলেই কেবল আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের প্রকৃত সফলতা দান করবেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সংগঠনের নেতৃত্বের বড় একটি অংশ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে আসে। এর জন্য দ্বীন কায়েমের এই কাজে শিবিরের সদ্য বিদায়ী নেতৃত্বকে সচেতনভাবে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এদেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতে নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এমতাবস্থায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে আমাদের দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে যে বিবেক দিয়েছেন কোনো অবস্থাতেই আমরা তার বিরুদ্ধাচারণ করবো না। ইসলামের যেটুকু ইলম অর্জন করেছি, কোনো অবস্থাতেই যেন আমাদের ইলম ও আমল পরস্পর বিপরীত না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আজকে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় এদেশের মানুষকে স্বৈরাচার ফ্যাসীবাদী শক্তির দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে ছাত্র আন্দোলনের সদ্য বিদায়ী নেতাদের অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি দেশ ও জাতির প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার জন্য ছাত্র নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হচ্ছে সবচেয়ে বড় ফরজ। সব নবী-রাসূল এই মিশন নিয়েই দুনিয়ায় এসেছিলেন। ফলে ছাত্রজীবন শেষে এই আন্দোলন থেকে অব্যাহতি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকালে জাতির নেতৃত্বের সঙ্কট পূরণে ছাত্রশিবিরের বিদায়ী নেতৃত্বকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের বৃহৎ পরিসরে নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে মেলে ধরার জন্য বিদায়ী ছাত্রশিবিরের নেতাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। হাজারো মানুষের ভিড়ে মহান আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে কবুল করেছেন, এর জন্য আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার পাশাপাশি এই আন্দোলনে যেন আমৃত্যু টিকে থাকতে পারি সেই দোয়া কামনা করছি।’
এ সময় সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতাদের ফুল ও বই দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় এবং তাদের ছাত্রজীবনের ইসলামের রঙে রাঙ্গানো অতীতকে ধারণ করে বৃহত্তর অঙ্গনে দ্বীন প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি