২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোনো পরাজয় নেই : আব্দুল হালিম

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোনো পরাজয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব থানা আয়োজিত সদস্য ( রুকন) শিক্ষা বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির আলোচনায় এসব কথা বলেন।

থানা আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও নায়েবে আমির সুলতান আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। শিক্ষাবৈঠকে আলোচনা রাখেন উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও থানা সেক্রেটারি হামিদুল হক প্রমুখ।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনো ফুল বিছানো ছিল না; এখনো নয়। তাই বাতিল ও কুফরি শক্তির মোকাবেলায় দ্বীনকে আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নিজেদেরকে আত্মগঠনে মনোনিবেশ করতে হবে। নতুন শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের যোগ্যতা বাড়াতে হবে। ব্যাপকভিত্তিক কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে যোগ্যতর কর্মী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য ইসলামের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষের যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। আর এভাবেই ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোনো পরাজয় নেই। কারণ, আল্লাহ আমাদের ওপর দ্বীন প্রতিষ্ঠা নয়। বরং সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কোরবানীর পেশের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালানো ফরজ করে দিয়েছেন। মূলত দ্বীন বিজয়ের লক্ষে সর্বশক্তি নিয়োগ করে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোই আমাদের কাজ। তাই এক্ষেত্রে ধৈর্য হারানোর কোনো সুযোগ নেই। বরং প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষে সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত ও লাগামহীন লুটপাটের কারণে দেশে তীব্র অর্থসঙ্কট দেখা দিয়েছে। কয়লা আমদানীর অভাবে ইতোমধ্যেই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। নানা অজুহাতে বিদ্যুতের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি ও জনগণের কাছে কুঠিয়ালদের মতো বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হলেও সরকারের লাগামহীন লুটপাটের কারণেই আমদানি করা কয়লার বকেয়া পরিশোধ সম্ভব হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ সেক্টরে বড় ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত এ সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই ব্যর্থ ও লুটেরা সরকারকে জনগণ আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

তিনি সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে ও কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি

সকল