২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী : হেফাজত

‘শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী’ -

দেশের শিক্ষা আইন ২০২২ খসড়া কমিটিতে আলেম-উলামাদের সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একইসাথে দেশের শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ধর্মীয় তথা ইসলামী শিক্ষাকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

রোববার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের শিক্ষাখাত নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সিলেবাস থেকে ইসলামকে বাদ দেয়ার জন্য সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে দেশ ও ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলো। তারা সুকৌশলে দেশের শিক্ষাখাত থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও শিক্ষানীতিতে ইসলামকে হটিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালিয়েছে একটি গোষ্ঠী। সেবার শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. ও আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর রহ. নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামসহ দেশের ইসলামপন্থী তৌহিদী জনতার প্রতিবাদের মুখে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

তারা বলেন, করোনার অজুহাতে গত দুই বছর ইসলাম শিক্ষার পরীক্ষা নেয়া হয়নি। শোনা যাচ্ছে নতুন শিক্ষানীতিতে ইসলাম শিক্ষাকে বাদ দিয়ে কথিত নৈতিক শিক্ষা প্রবেশ করানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পাঠ্যপুস্তক ও জাতীয় শিক্ষাক্রম থেকে ইসলামী শিক্ষাকে সঙ্কুচিত করা চরম উদ্বেগজনক বিষয়। এটি জাতি-বিনাশী, জাতি-বিধ্বংসী ও চরম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

এমনিতেই সকল ক্ষেত্রে মূল্যবোধহীনতার চর্চা বেড়েছে। মূল্যবোধহীনতার মূলে ধর্মীয় শিক্ষার অভাব অন্যতম কারণ। এহেন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের নৈতিকভাবে বলীয়ান করার জন্য ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পরিধি যখন আরো বাড়ানো জরুরি, তখন তা আরো সঙ্কুচিত করা অযৌক্তিক ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কস্মিনকালেও পাঠ্যসূচী থেকে ইসলামকে বাদ দেয়া তো দূরের কথা, কল্পনা করারও দুঃসাহস দেখানো উচিৎ হবে না। এই দেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। মুসলমানের সন্তানদের মৌলিক অধিকার ইসলাম সম্পর্কে জানা ও ইসলামী জ্ঞান হাসিল করা। অন্যান্য ধর্মের শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ ধর্মের জ্ঞান অর্জন করবে। এ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

আমরা এর আগেও দেখেছি শিক্ষানীতি তৈরির নামে ইসলাম বিদ্বেষী একটি গোষ্ঠী পাঠ্যসূচির মধ্যে ইসলামকে হটিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছে। এবারও আমরা এ ধরনের আভাস পাচ্ছি। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে, শিক্ষা আইনের খসড়া কমিটিতে অবশ্যই আলেমদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।

তারা দাবি জানান, খসড়া কমিটির পক্ষ থেকে দেশের বিজ্ঞ আলেম-উলামা ও ইসলামী স্কলারদের সাথে মতবিনিময়ের আয়োজন করতে হবে। তাদের সাথে পরামর্শক্রমে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করতে হবে।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এমন কোনো বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, যা ইসলাম ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা-চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ইসলাম শিক্ষাকে রাখতে হবে। ইসলাম শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। পূর্ণ নম্বরে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ক পরীক্ষা নিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে এদেশের ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতা কখনোই তা মেনে নিবে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি

সকল