খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না : মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। উনাকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়নি। এদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কোটি কোটি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজকে সেই প্রধানমন্ত্রী অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুকে ধুকে মরছেন। উনার সুচিকিৎসাও হচ্ছে না।

মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনটির সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বেগম জিয়ার চিকিৎসার কথা বলেছি, আমরা বিদেশে নেয়ার কথা বলেছি, আমরা অনুরোধ করেছি। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা চিকিৎসা করাতে দেবে না। আমরা আজকেও এ সভা থেকে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার সুযোগ দিন ও নিপুণ রায় চৌধুরীকে মুক্তি দিন।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমার বারবার একটা কথা মনে হয়, এদেশ সম্ভবত আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে না। একটা পুতুল সরকার এদেশে বসা আছে। তারাই চালাচ্ছে। কারো নির্দেশ মতো কোনো গোষ্ঠী, কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো সংস্থা কিংবা সবাই একত্রিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের গা বাঁচানোর জন্য এই আওয়ামী লীগ নামক পুতুলটিকে টিকিয়ে রেখেছে।

তিনি আরো বলেন, এমন কোনো সংস্থা নেই, এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, এমন কোনো ব্যক্তি নেই যারা চুরি-ডাকাতি-লুট করেনি। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাঁচার করে দিয়েছে। পি কে দত্তের মতো বহু বেসরকারি ও সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশের টাকা লুট করেছে। তারা দেশে অবস্থান করছে। আর তাদের সন্তানরা বিদেশে অবস্থান করছে। আমি বলতে চাই, ওদেরও বিচার হবে। এত খুন, এত লুট, এত গুম- এরও বিচার হবে। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তবে এসব লুটপাটকারীর বিচার হবে। সেই সমস্ত বিচারের ভয় আজকে একটা গোষ্ঠী এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।

সংগঠনের সদস্য মীর সরাফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, আফরোজা আব্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, খন্দকার আবু আশফাক, বিলকিস ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমীন, আবদুর রহিম ও আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।