আমরা মানচিত্র-পতাকা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি : ডা: ইরান
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৩১
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা একটি মানচিত্র ও একটি পতাকা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি। তিনি বলেন, সার্বভৌমত্ব অধিকার আমরা তেমনভাবে পাইনি। সীমান্ত এলাকায় এখনো পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত প্রহরীরা বাংলাদেশের জনগণকে নির্বিচারে গুলি করে মারছে।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (মা:-লে:) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমরেড মো: তোহার ৩৩তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা: ইরান বলেন, ২০০৯ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা ভেবেছিলাম পরবর্তী নির্বাচন হয়তো গণতান্ত্রিক পন্থায় হবে। কিন্তু সে নির্বাচনে পুরোপুরি গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমান দেশের জনগণের একটাই দাবি, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, এদেশের জনগণের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে, সেই অধিকার জনগণ পাচ্ছেন না। তাই যেকোনো মূল্যে সেই মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই মৌলিক অধিকারের জন্যই ১৯৭১ সালে আমাদের পূর্বপুরুষরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু দেশের জনগণ সেই মৌলিক অধিকার এখন আর পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে রক্ষা পেলেও এখনো দিল্লির হাত থেকে রক্ষা পায়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশকে ভারত তার একটি রাজ্যের মতো করে শোষণ ও বঞ্চনার ভিতরে রেখেছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদকে ভারত বলেছিল, আপনি যদি নির্বাচনে না আসেন তাহলে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসবে। আমার প্রশ্ন হলো, একটি দেশ আর একটি স্বাধীন দেশের উপর কিভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে? এজন্য আমি মনে করি, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ নয়। যদি স্বাধীন হতো তাহলে যে উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা হতো। মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতো। কিন্তু আজ দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না।
এ সময় ২০ দলীয় জোটের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ২০ দলকে আরো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আন্দোলনে নামতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
স্মরণসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা: সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পলিটব্যুরোর সদস্য কাজী মোস্তফা কামাল, সুভাষ ভট্টাচার্য, গাজী রুহুল আমিন, লেবার পার্টির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, ছাত্রমিশন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আবদুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।