২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


মন্ত্রী বীর বাহাদুর যেভাবে করোনায় আক্রান্ত হন

- সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার একজন সদস্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার খবর সামনে এলো। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। বান্দরবান থেকে টানা ছয়বার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যকে এই মধ্যে সামরিক হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

মন্ত্রীর একান্ত সচিব রাসেল হোসেন বলছেন, মি. উশৈসিং দুই তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। পরীক্ষা করার পর গতকাল পাওয়া ফলাফলে জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত।

মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাসে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, তখনই বান্দরবানের নিজ নির্বাচনীএলাকায় চলে গিয়েছিলেন মি. উশৈসিং। এই সময়ে তিনি এলাকায় বিভিন্ন ধরণের ত্রাণ ও জরুরি সহায়তা প্রদান কর্মসূচী পরিচালনা করছিলেন।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসুইপ্রু মারমা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ঈদের সময় অনেক মানুষ তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন, সেখান থেকেই সম্ভবত সংক্রমিত হয়েছেন মি. উশৈসিং।

ডা. অংসুইপ্রু মারমা জানান, মন্ত্রীর ডায়বেটিস ও প্রেশারের সমস্যা রয়েছে। তবে তার কোভিড-১৯ এর উপসর্গ তীব্র ছিল না। বরং মৃদু থেকে মাঝামাঝি পর্যায়ের ছিল। বুধবার পর্যন্ত বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। কোভিড-১৯ ধরা পড়ার পর তাকে চট্টগ্রামের হাসপাতালে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেছিল বান্দরবানের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু তীর্ব্র উপসর্গ না থাকা সত্বেও তাকে কেন এয়ারলিফট করে ঢাকার সামরিক হাসপাতালে আনা হলো?

বান্দরবানের সিভিল সার্জন বলছেন, ভবিষ্যত ঝুঁকি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার কোন সদস্যের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হবার এই প্রথম কোন খবর প্রকাশ্যে এলো।

বীর বাহাদুর উশৈসিং ১৯৯১ সাল থেকে টানা ছয়বার বান্দরবান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। গত বছর ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। তার সংসদীয় এলাকা বান্দরবানে এখন পর্যন্ত ৪১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ঢাকার বেসরকারি বাংলাদেশ স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটেছে।

মে মাসের শেষদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে বাংলাদেশের কয়েকজন সংসদ সদস্যের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement