ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পুলিশ। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে চিঠিও পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, সম্রাট এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছেন।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে অবৈধভাবে পরিচালিত ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পর গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম উঠে আসে। এসব অভিযোগের মধ্যেই ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আলোচিত যুবলীগ নেতা সম্রাট ছয় দিন ধরে কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে শতাধিক যুবকের পাহারায় অবস্থান করছেন। সেখানে সবার খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা আছে। যুবলীগের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, দলের শীর্ষ নেতাদের পরামর্শে সম্রাট বাসায় না থেকে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। তবে সম্রাট নিজের অবস্থান সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সম্রাটের ব্যাপারে এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যার নাম আপনারা বলছেন, সে ছাড়াও সরকারের অন্য কেউ যদি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ায়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, শীর্ষ মহলের সবুজসংকেতের পরই সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজধানীর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। ওই রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনে নিজের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে। যুবলীগের এই দুই নেতাকে গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।
এছাড়া রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগের সাবেক নেতা সফিকুল আলম ফিরোজকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র্যাব-২।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা