জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে তৃণমূলকে মূল্যায়ন করে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে। মনোনয়ন ও পার্টির বিভিন্ন নেতৃত্ব তার অতীত ত্যাগ ও শ্রমের উপর বিবেচনা করে মূল্যায়ন করা হবে। উড়ে এসে জুড়ে বসার সুযোগ জাপায় থাকবেনা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর এজিবি কলোনী কমিউনিটি সেন্টারে জাপা আয়োজিত চারদিনব্যাপী বিভাগীয় সাংগঠনিক সভার প্রথমদিনে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, আযম খান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল, জেলা নেতা ইলিয়াস উদ্দিন, মাহবুব আলম বাচ্চু, আফতাব হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান প্রমুখ।
সভার প্রারম্ভে অনুষ্ঠানের মূলগেটে সভায় প্রবেশ নিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সভাস্থলে প্রবেশ নিয়ে দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি টেবিল চেয়ার ভাংচুর করা হয়। পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সভার সমাপনী বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, বিগত ২৯টি বছর অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে জাতীয় পার্টি টিকে রয়েছে। যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। আমি তার মত এত বড় মাপের নেতা নই। আমি জাপার খাদেম হিসেবে থাকতে চাই।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করতে হবে। ভাড়া করা লোক দিয়ে সংগঠন হবেনা। সংগঠনে কোন্দল সৃষ্টিকারীকে জাপায় রাখা হবেনা।
সভার শুরুতে পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগে গেছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। ২১ বছর পর এরশাদ সমর্থনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ আমাদের মূল্যায়নের পরিবর্তে অপমান করছে। ভবিষ্যতে জাপার ওপরে আঘাত করার চেষ্টা করলে আমরাও বসে থাকব না প্রতিউত্তর দেব।
তিনি বলেন, আমরা কেনো ২২টি আসন পেলাম? অ্যালায়েন্স করার পরও কেন আমাদের অধিকাংশ আসনে নির্বাচন করতে হলো। আগামীতে আর কারো সঙ্গে জোট নয়। এককভাবে নির্বাচন করব। রাঙ্গা বলেন, আজ জাপার এই বিভাগীয় সভায় সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া জেলা ও অঙ্গসংগঠনের যেসব নেতারা আসেননি তাদেরকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সভাস্থলে আসার আগে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, বেগম রওশন আমাকে বলেছেন, জিএম কাদেরের প্রতি আমার শতভাগ সমর্থন আছে। অসুস্থতার কারণে তিনি সভায় আসতে পারেননি। যারা এরশাদ ও জি এম কাদেরের রাজনীতি করবেন না তাদের জাতীয় পার্টি করার প্রয়োজন নেই।
সভায় পার্টির তৃণমূল নেতারা বিগত জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে সরকার জাপার প্রতি অবিচার করেছে বলে অভিযোগ করেন। নির্বাচনের সময় পার্টি খেকে কোনো ধরণের সহযোগীতা করেননি বলেও অভিযোগ করেন জেলা ও উপজেলা নেতারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা