২৯টি আসনে ‘সন্তুষ্ট’ হতে পারেনি মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টি, তারপরও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই বিষয়টি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে দলটির নয়া মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, মহাজোটে জাতীয় পার্টি যে ক’টি আসন পেয়েছে তাতে পার্টির নেতাকর্মীরা সন্তুষ্ট নন। কিন্তু মহাজোটের স্বার্থে আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে জাতীয় পার্টি মহাজোটে ২৯টি এবং উন্মুক্তসহ মোট ১৭৪টি আসনে নির্বাচন করবে।
সোমবার বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জাপা মহাসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি, নুরুল ইসলাম নুরু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্টন মোল্লাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ঠিক মূল্যায়ন বলতে যা বুঝায় তা নয়। কর্মীরা সন্তুষ্ট নয়, আমরাও সন্তুষ্ট নই বলা যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমিও সন্তুষ্ট নই। তবে এক পরিবারে থাকলে গণ্ডগোল হতেই পারে। তারপরও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মিলেমিশে থাকতে হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, উন্মুক্ত নির্বাচনে মহাজোটের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, মহাজোটভুক্ত যে প্রার্থী শক্তিশালী, তাকেই সমর্থন দেওয়া হবে। উন্মুক্ত নির্বাচনে পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি হবে।
এদিকে ৫০টি আসনের প্রত্যাশা থাকলেও রোববার জাতীয় পার্টি জানায়, মহাজোট থেকে তারা ২৯টি আসন পাচ্ছে। এছাড়া ১৩২টি ‘উন্মুক্ত’ আসনে তারা লাঙ্গল প্রতীকে নিজেদের প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করে। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে আরো ১৫ জন নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানায় জাপা। পরে দেখা যায়, মহাজোট থেকে পাওয়া জাপার তিনটি আসনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী রয়েছে। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন জাপার নেতারাও।
রাঙ্গা জানান, আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়েছে। একসময় কথা হচ্ছিল ৫৪টি নিয়ে, তা এখন কমতে কমতে ২৯-এ নেমে এসেছে। কারণ হচ্ছে, আমরাও দিচ্ছি, ওনারাও প্রার্থী দিচ্ছেন। আসন বণ্টন ইস্যুতে আলোচনা চলছে। তবে তা মাঝেমধ্যে উলটপালট হয়ে যাচ্ছে। মাঝখান থেকে কে এই প্রবলেম সৃষ্টি করছে, আমি জানি না।
জাপা মহাসচিব বলেন, সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়েছে। তিনি জানান, ঢাকা-১৭ আসনে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে। ‘অসুস্থ’ এরশাদ নিজে মাঠে নামতে না পারলেও তার পক্ষে এই প্রচারের দায়িত্ব সামলাবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী।
অন্যদিকে জোটের বাইরে জাতীয় পার্টি এত প্রার্থী দেওয়ায় ক্ষোভ এবং উদ্বেগ রয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে। এনিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা বলছেন, এত আসনে লাঙ্গলের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের জোট শরিক দলের প্রার্থীদের ভোটে ভাগ বসালে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা