৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ড. কামাল হোসেন কেন নির্বাচন করছেন না

ড. কামাল হোসেন - ছবি : সংগ্রহ

বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।
কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের নামে কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। তার মানে, তিনি নির্বাচন করছেন না। কিন্তু যার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলো, সরকারের সাথে সংলাপ হলো এবং বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে এলো, শেষ পর্যন্ত সেই কামাল হোসেনই নির্বাচন করছেন না। কেন এই সিদ্ধান্ত? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর পেছনে বয়েসই মূল কারণ।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাাৎকারে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মূল কারণ হলো, আমার বয়স এখন আশির ওপরে হয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেও যদি এ নির্বাচন হতো তাহলেও হয়তো বিবেচনা করতাম। কিন্তু তখন যে ইলেকশন হওয়ার কথা সেটা তো হয়নি।’ কিন্তু ড. কামাল হোসেন রাজনীতি করছেন, সভাসমিতি করছেন। তাহলে নির্বাচন নয় কেন?
বিবিসি বাংলার এ প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, রাজনৈতিক ব্যাপারে যতটুকু যা করার তা তিনি করবেন; কিন্তু তিনি নির্বাচন করবেন না শুধু বয়সের কারণেই। কিন্তু বাংলাদেশে তো এমন অনেকে আছেনÑ যারা ড. কামাল হোসেনের চেয়েও বেশি বয়সে মন্ত্রী হয়েছেন বা রাজনীতি করছেন। এ কথার জবাবে তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে আমি সে রকম কাউকে দেখি না যে সেই ধরনের রাজনীতি করছেন, হয়তো দু-একজন থাকতে পারেন।
ড. কামাল বলেন, ‘না, সেভাবে ছিল না। নির্বাচন ঘোষণার অনেক আগেই আমি বলে দিয়েছিলাম যে আমি রাজনীতিতে আছি থাকব, কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হবো না।’
কিন্তু রাজনীতির মূল ল্যই তো মতায় যাওয়া এবং তার উপায় হচ্ছে নির্বাচনÑ এ কথার জবাবে তিনি বলেন, তিনি মতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করেন না।
আমি চেয়েছি যে দেশে গণতন্ত্র থাকুক, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হোক। আমি রাজনীতিতে ঢুকেছি ৫৫ বছর আগে, মন্ত্রী ছিলাম, অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কোনোটাতে সফল, কোনোটাতে বিফল হয়েছি। কিন্তু আমি এখন মনে করি আমার অভিজ্ঞতা থেকেÑ দেশের মঙ্গলের জন্য যারা রাজনীতি করবে তারা আমার সহায়তা পাবেন এবং আমি তা করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, তার দল গণফোরাম থেকেও এটা চাওয়া হয়েছিল যে তিনি নির্বাচন করুনÑ কিন্তু তিনি তাদেরকে ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছেন।

তার কথায় : ‘এটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করা দরকার যে রাজনীতি এমন একটা কাজ যাতে বয়েস-স্বাস্থ্য সবকিছু ঠিক থাকলে মানুষ পুরোপুরি ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচন তো পরিশ্রমের দিক থেকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন একটা কাজ। যেহেতু আমি নির্বাচন করছি না তাই অন্য ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করতে পারছি। তিনি বলেন, তার নির্বাচন করার সময় চলে গেছে এ কথা তিনি বহু আগেই দলকে বলেছেন, প্রকাশ্যেও বলেছেন। এর পেছনে কি তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে? জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, অন্য কোনো উদ্দেশ্যের প্রশ্নই ওঠে না। আমার কথায়-কাজে কেউ সে রকম কিছু পেয়েছে এটা কেউ বলতে পারবে না’ বলেন তিনি।

এ দিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া অপর এক সাক্ষাৎকারে প্রবীণ এই আইনজীবী দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রধান বিরোধীদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাথে জোট গঠনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। 
ড. কামাল বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে যা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন। এ সময় দেশে কোনো সরকার ছিল নাÑ যারা ছিলেন তারা অনির্বাচিত।’


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ‘বন্ডের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ করলে জনগণের ওপর কর চাপ কমবে’ বকশীগঞ্জে ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার ৩ বকেয়ার কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়িয়েই চলছে বিদেশী এয়ারলাইন্স মামা সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী বিডি মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক উৎসব কামাল হত্যা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার ১২ চুক্তি হোক বা না হোক, রাফায় অভিযান চলবে : নেতানিয়াহু সমুদ্রসীমায় ২০ মে থেকে ৬৫ দিন‌ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে ২ নতুন মুখ ও নর্টিসহ দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দল ঘোষণা শত কোটি টাকা আত্মসাৎ : বিমানবন্দর থেকে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক মঠবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সকল