১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


শনিবারের জনসভায় ভবিষ্যত কর্মপন্থা জানাবে বিএনপি

শনিবারের জনসভায় ভবিষ্যত কর্মপন্থা জানাবে বিএনপি । ছবি - সংগৃহীত

আগামী শনিবারের জনসভার দলের ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও কর্মসুচির কথা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন, ঢাকা জেলা, গাজীপুর, টাঈাইল, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ বিএনপির অঙ্গদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বরের জনসভায় আমরা দলের নীতি নির্ধারনী বক্তব্য দিবো। ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধরবো। তিনি বলেন, আমরা জনসভার জন্য ২৭ তারিখ অনুমতি চেয়ে ছিলাম। কিন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ২৯ তারিখ শনিবার ছুটির দিন সমাবেশ করলে ভালো হয়। সেইভাবে জনসভার অনুমতির জন্য কতৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখন ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। ওদিন নাকি আওয়ামী লীগের কর্মসুচি আছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মতবিনিময় মহানগর নাট্যমঞ্চ আর আমাদের জনসভা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে। এখানে বিরোধের সম্পর্কটা কোথায়?

অন্য কোনো দিনের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে কি না এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো ২৯ তারিখ অনুমতি চেয়েছি। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের বিএনপির জনসভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন সব বলে দিলে হবে না তো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।

 

রাজনীতিতে উত্তেজনা

উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মাঠের রাজনীতি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনীতির ডালপালা ততই সক্রিয়ভাবে প্রসারিত হচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছু নানামুখী আলোচনা চলছে। সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা এই ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত দলগুলোর তীব্র সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে রাজধানীতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার একই দিনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল আগামী তিন মাস রাজনীতির মাঠ দখলে রাখার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিএনপিও প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরো শক্তি নিয়ে রাজপথে নামার। 

সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা মেরুকরণের চিত্র ফুটে উঠতে শুরু করায় রাজনীতিতে এক ধরনের উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে যেখানে নির্বাচনের আমেজ থাকার কথা, তা নেই মোটেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের নানা দাবিতে মাঠে থাকা বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল কোনো সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষপাতি নয়। আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিয়েই তারা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। যার ফলে অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। সরকারি দলও সেই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। 


নির্বাচনী মাঠ এককভাবে দখলে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি জোট এবং নতুন রাজনৈতিক মোর্চা যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যসহ সরকারবিরোধী কোনো জোটকে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেবে না তারা। সেই লক্ষ্যে সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মতবিনিময়সহ নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। সরকারবিরোধী এসব দল বা জোট কোনো কর্মসূচি পালন করলে তার পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীনেরা। বিএনপি আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে সমাবেশের কর্মসূচি দেয়ায় আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। সমাবেশের আগে ঢাকা দখলে রাখতে চায় তারা। 


আরো সংবাদ



premium cement
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৩০০ পুলিশী বাধায় জাগপার গণমিছিল পণ্ড গাজায় নজরদারির জন্য ২০০ গোয়েন্দা মিশন যুক্তরাজ্যের এমবিএসের প্রত্যাশিত পাকিস্তান সফর স্থগিত পুলিশ-সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার এমপি শাহজাহান জয়ের জিহ্বা কেটে নেয়ার হুমকি দিলেন জেলা আ’লীগ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তি ভোটের ফলে কোনো প্রভাব ফেলবে? টাইগারদের দৃষ্টি জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার দিকে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সাফল্য আনলেন সালমান হোসেন এবার স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়ল ১৮৩২ টাকা

সকল