১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


দুর্ভাগ্য, অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি ছাড়া কোনো আদেশ হচ্ছে না : খন্দকার মাহবুব

দুর্ভাগ্য, অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি ছাড়া কোনো আদেশ হচ্ছে না : খন্দকার মাহবুব - ছবি : সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি ছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোনো আদেশ দিচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। এ ধরনের অবস্থায় কত দিন আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্টের ওপর আস্থা রাখতে পারবে? মানুষ হয়তো বা আমাদেরকে ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখ্যান করে আইন নিজেরাই হাতে তুলে নেবে, সেই দিনের অপেক্ষায় আমরা আছি।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা ক্ষুব্ধ, লজ্জিত এই কারণে যে অ্যাটর্নি জেনারেল যেহেতু আপিল বিভাগে যাবেন সেহেতু আজকে এটা মুলতবি করা হলো। এর অর্থ- অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি ছাড়া মনে হচ্ছে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোনো আদেশ দিচ্ছে না।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, হতাশা প্রকাশ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চেয়েছেন আদালত তাকে সময় দিয়েছেন। আবার তিনি সময় চাইবেন হয়তো আবার সময় দেবেন।’
রোববার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা কুমিল্লার নাশকতার মামলায় শুনানি শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতে আমরা বলেছিলাম, যে কারণে ট্রাইব্যুনাল (বিচারিক আদালত) তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। সেটা সঠিক না। সেখানে বলা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়ে আসে নাই, সেই কারণে জামিনের আবেদন শোনা যায় না। খালেদা জিয়া জেলে। অতএব গ্রেফতারি পরোয়ানার কোনো প্রশ্ন আসে না। এই একই আদেশের বিরুদ্ধে ভিন্ন একটি সিনিয়র বেঞ্চ আদেশ দিয়েছেন যে, ‘বিচারক ভুল পথে অগ্রসর হয়েছেন। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জামিন আবেদনের সঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানার কোনো সম্পর্ক নেই। অতএব তার অবিলম্বে তার জামিনের আবেদনের শুনানি করা হোক।’ এই একই ধরনের একটি আদেশ নিয়ে আমরা এই কোর্টে আবেদন করেছি।

তিনি বলেন, কুমিল্লায় একই ঘটনার উপরে দুটি চার্জশিট হয়েছে। তার মধ্যে একটি ৩০২ ধারায় আরেকটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে। ৩০২ ধারার মামলায় আমরা জামিন পেয়েছি যা আপিল বিভাগে মুলতবি (শুনানির জন্য) আছে।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, গতকাল মোটামোটিভাবে এগ্রি করে গিয়েছিলেন (অ্যাটর্নি জেনারেল) যে আদেশের কপি দেখেননি। কিন্তু আজ তিনি ভিন্নরূপে আবির্ভূত হয়েছেন। অ্যাটর্নি বলেছেন, সরকারের নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত হলো, হাইকোর্টের সিনিয়র বেঞ্চটি যে আদেশ দিয়েছেন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল দায়ের করবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আদালতকে বললাম, উনি কখন (আপিলে) যাবেন, সেটা জানি না। যেহেতু এখনো আপিল দায়ের হয়নি। আপিল থেকে কোনো আদেশ হয়নি সেহেতু আপনাদের আদেশ দিতে কোনো বাধা নেই। তাছাড়াও আমরা ট্রাইব্যুনালের যে আদেশের বিরুদ্ধে এসেছি, তা কতটা যুক্তিসঙ্গত আপনারা (বিচারপতিরা) দেখুন। সে অনুযায়ী আদেশ দিন।

তিনি আরো বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের যখন সম্মতি হবে যে খালেদা জিয়ার জামিন হবে। আমাদের সেই অপেক্ষায় থাকতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচার ব্যবস্থার উপর আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে, আর আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।’

‘এই ধরনের অবস্থায় কত দিন আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্টের ওপর আস্থা রাখতে পারবে। মানুষ হয়তো বা আমাদেরকে ঘৃণভাবে প্রত্যাখ্যান করে আইন নিজেরাই হাতে তুলে নেবে সেই দিনের অপেক্ষায় আমরা আছি।’
খালেদা জিয়া অসুস্থ, এ বিষয়ে আপনারা আইনজীবীরা কোনো আইনি পদেক্ষপ নিবেন কিনা জানতে চাইলে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আইনি পদক্ষেপ তো আমরা নিচ্ছিই।’

নাশকতার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি মুলতবি

কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের শুনানি সোমবার(১১ জুন) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রোববার (১০ জুন) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মো. আনিছুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর গত ৭ জুন শুনানি হয়। শুনানিকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে বিচারিক আদালতের (খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি বিচারিক আদালতে চলমান) প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আবেদন জানায় এবং এ সংক্রান্ত গত ৬ জুনের হাইকোর্টের একটি রায় আদালতে উপস্থাপন করেন। কিন্তু সে রায়টি পড়তে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রোববার (১০ জুন) পর্যন্ত সময় আবেদন করেছিলেন। এরপর আদালত সময় মঞ্জুর করে মামলার শুনানি মুলতবি রেখেছিলেন। তবে আজ পুনরায় শুনানি নিয়ে মামলাটি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি করে। এরপর চলতি বছরের ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement
অগ্রাধিকার পাবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ সৌদি গেলেন ২৮৭৬০ হজযাত্রী, আরো একজনের মৃত্যু এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় ঢাকা অপরাজেয় থেকেই বুন্দেসলিগার শিরোপা বুঝে নিল লেভারকুসেন যুদ্ধের সময় নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্ট জানাতে হবে : জাতিসঙ্ঘ অনুমোদন ছাড়া কিভাবে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রি করছিল কোম্পানিগুলো সরকারি কেন্দ্রে কৃষকেরা ধান বেচতে পারে না, লাভ খাচ্ছে দালালরা গরুর নাম উড়াল সড়ক, ওজন ৩৫ মণ ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!

সকল