পুজিবাজারে প্রণোদনা ও ভ্যাটে কিছুটা সংশোধন এনে জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০১৯ পাস হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রের ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর বহাল রাখা হয়েছে। তবে বহুল আলোচিত সঞ্চয়পত্রের উপর উৎসে কর, বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে টিআইএন বাধ্যতামলূক করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তনের কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি।
সংসদের ইতিহাসে প্রথম বারের মত অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতায় অর্থবিল পাস করলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা সংসদের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
শনিবার রাতে স্পীকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের কতিপয় সংশোধনী গ্রহণ করে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ বিল পাসের প্রস্তাব কন্ঠভোটে দিলে তা সর্বাধিক হ্যাঁ ভোটে পাস হয়। এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান।
যদিও বিলটি জনমত যাচাই ও প্রচারের প্রস্তাব করেন বিরোধী দলীয় কতিপয় সদস্য। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশীদ, রওশন আরা মান্নান, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, গণফোরামের মোকাব্বির খান, বিএনপি’র রুমিন ফারহানা নিজ নিজ সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন। এছাড়া সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ, উপাধক্ষ্য আব্দুস শহীদ, শহিদুজ্জামান সরকার, ইসরাফিল আলমও প্রস্তাব দেন।
এর আগে গত ১৩ জুন সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট উত্থাপনের পর সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করায় অর্থমন্ত্রীর ব্যাপক সমালোচনা করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, সঞ্চয়পত্র গ্রামের গরীব দুঃখীদের হক সেখানে আপনি হাত দিলেন কেন? এটা প্রধানমন্ত্রীর স্কিম। এটা সংশোধন করবেন।
বিলে বলা হয়েছে, পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি যে পরিমান স্টক ডিভিডেন্ট প্রদান করবেন, একই পরিমান নগদ ডিভিডেন্ট দেবেন। এক্ষেত্রে স্টক ডিভিডেন্টের পরিমান নগদ ডিভিডেন্টের চেয়ে বেশি দেয়া হয় সেক্ষেত্রে সকল স্টক ডিভিডেন্টের ওপর ১০ শতাংশ হারে করা প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ১৫ শতাংশ করার হয়েছিল।
এছাড়া পুজিবাজারে কোন কোম্পানির পরবর্তী নিট লাভের ৭০ শতাংশ রিটেইন আর্নিংস, রিজার্ভসহ বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করতে পারবেন। বাকী ৩০ শতাংশ স্টক, ডিভিডেন্ট ও নগদ লভাংশ দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে প্রতিবছর রিটেইন আর্নিংস ও রিজার্ভসহ স্থানান্তর মোট অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
শেয়ার বাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক মুসক হার প্রচলন করা হচ্ছে। তবে ১৫ শতাংশের নিম্নের হারগুলোতে উপকরণ কর রেয়াত নেয়ার সুযোগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা হ্রাসকৃত হারের পরিবর্তে উপকরণ কর গ্রহন করে ১৫ শতাংশ হারে কর প্রদানে সুযোগ সৃষ্টির জন্য দাবি করেছেন। হ্রাসকৃত হারের পাশাপাশি কেউ চাইলে যেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে রেয়াত পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে আইনে সে বিধান আনা হবে।
তাঁত শিল্পের ওপর ৫ শতাংশ মুসকের পরিবর্তে প্রতিকেজিতে ৪ টাকা হারে সুনির্দিষ্ট হারে মুসক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দেশী শিল্প রক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু শুল্ক হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে দেশের কাগজ ও গ্যাস উৎপাদনকারী শিল্প যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। দেশীয় মুদ্রণ শিল্পে প্রণোদনা ও বন্ড ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধ করতে দেশে উৎপাদন হয় না এমন পেপার মিলের শুল্ক হার যৌক্তিক করা হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানিকৃত কতিপয় পণ্যের শুল্ক হার পূন নির্ধারন করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা