১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


এক দেশ দুই সরকার

এক দেশ দুই সরকার - সংগৃহীত

লিবিয়া এখন বিভক্ত। একটি দেশ দুটি সরকার। একটি ‘ওয়ারলর্ড’ জেনারেল হাফতারের বাহিনী নিয়ন্ত্রিত; অপরটি জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত ‘ত্রিপলি সরকার’। এখন দুটি সরকার হলেও বছরখানেক আগে সেখানে আরো কয়েকটি সরকার ছিল। কারো ওপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই।

সরকারের সৈন্যবাহিনীর নেই উন্নত অস্ত্র। বহুলালোচিত গাদ্দাফির পতনের পর সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডার লুট হয়ে যায়। বিদ্রোহীদের হাতে পড়ে সেগুলো। আফ্রিকার বোকো হারাম ও আল শাবাব বাহিনী সস্তায় কিনে নেয়। ত্রিপলি অস্ত্র চোরাচালান ও বিকিকিনির আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখন জাতিসঙ্ঘ বলছে ত্রিপলি সরকারের জন্য অস্ত্র দরকার।
অস্ত্রের যোগানদাতার অভাব নেই। প্রচুর তেল রয়েছে লিবিয়ায়। বলতে গেলে তেলই ‘লিবিয়ার শত্রু’ শতাব্দীর পর শতাব্দী লিবিয়া বিদেশীদের উপনিবেশ বা কলোনি ছিল।

১৯৫১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। তেলকূপ আবিষ্কারের পর লিবিয়া প্রচুর ধন-সম্পদের অধিকারী হয়ে ওঠে। কর্নেল গাদ্দাফি ১৯৬৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেন এবং চার দশক ক্ষমতায় থাকেন।

ন্যাটো বাহিনীর ছত্রছায়ায় ফ্রান্সের বোমারু বিমানের ঝাঁক, ২০১১ সালে বোমা মেরে গাদ্দাফির কনভয়কে ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন মতবাদের বিদ্রোহীরা তাকে ঘিরে ধরে আহত অবস্থায় মেরে ফেলে। এমনকি তার লাশটাকে অসম্মান করে অর্থাৎ তার লাশ উলঙ্গ করে রেখে দেয়। গাদ্দাফিকে যে জন্য উৎখাত করা হয়, অর্থাৎ গণতন্ত্র ও উন্নয়ন, লিবিয়া সাত বছরেও তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি বরং বিভিন্ন দল-উপদল সবাই নিছক ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ করছে। লিবিয়ায় গাদ্দাফি যে উন্নয়ন ও অবকাঠামো তৈরি করেছিলেন সেগুলো ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে। অবশ্য সিরিয়ার চেয়ে তীব্রতা কম। বাইরের বিশ্ব এসব কাহিনী পড়তে পড়তে ক্লান্ত। লিবিয়ার সাধারণ নাগরিকেরা জানে না, কেন গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়েছিল, বিদ্রোহীরা কে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আর তাদের লক্ষ্যইবা কী?

গাদ্দাফি সম্পর্কে অনেক কথা বলা যায়। এখানে এতটুকু বলছি যে, তিনি আরব জাতীয়তাবাদকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। তার সমর্থক ছিলেন মিসরের জামাল আবদুল নাসের, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এবং পিএলওর ইয়াসির আরাফাত।

পশ্চিমারা তাই এই নেতাদের দৃশ্যপট থেকে মুছে দিয়েছে। আরাফাতকে বিষ প্রয়োগ করে, সাদ্দামকে ফাঁসি দিয়ে এবং গাদ্দাফিকে বোমা ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এজন্য ফ্রান্স, আমেরিকা, ইতালি, ব্রিটেন ও ন্যাটো অনেক বছর ধরে কাজ করেছে। গাদ্দাফি শুধু জাতীয়তাবাদের প্রবক্তাই ছিলেন না। তিনি মুসলিম বিশ্বে তরুণদের দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ‘সবুজ বিপ্লব’ করতে চেয়েছিলেন এবং ত্রিপলিতে সরকারি অর্থে কাজ শুরু করে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। তাই তাকে অসময়ে যেতে হয়েছে। গাদ্দাফিকে হত্যার পর বিভিন্ন অস্ত্রধারী দল ক্রিসেন্ট অয়েল ফিল্ড দখলের জন্য দিনরাত যুদ্ধ করছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি ও যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষ তেলক‚পগুলো ত্রিপলির ন্যাশনাল অয়েল করপোরেশনের, এনওসির হাতে দেয়ার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছে।

লিবিয়ার মঞ্চে এখন সবচেয়ে ক্ষমতাধর হলেন, জেনারেল খলিফা হাফতার। তিনি তৈরি করেছেন ‘লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি।’ তার বিরোধী দলও অনেক। হাফতারের মূল লক্ষ্য হলো, তেলক‚পগুলো অধিকার করা তারপর দেশের কথা। ফ্রান্স হাফতারকে সমর্থন দিলেও পরে বিরোধ দেখা দেয়। মিসর ও আরব আমিরাতও হাফতারের সহায়ক। তেলের দেশ আমিরাত লিবিয়ার তেল কোম্পানি থেকে তেল সংগ্রহ না করে বন্দরের ক‚প থেকে সংগ্রহ করার জন্য হাফতারকে সহায়তা করছে।

বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মূলত তেলকূপ নিয়ে বিরোধে ফি সপ্তাহে উভয় দিকে বিদ্রোহীরা মরছে। কখনো কখনো এই সংখ্য ৩০০ অতিক্রম করে যায়। এখন এসব যুদ্ধে জিতে হাফতারের দল বেশির ভাগ ক‚প দখল করে রেখেছে। কিন্তু হাফতার ত্রিপলির অয়েল করপোরেশনের মাধ্যমে রফতানি করতে চান না বরং বেনগাজির আরেক স্থান থেকে রফতানি করতে চান। বৈদেশিক মুদ্রা ত্রিপলির সেন্ট্রাল ব্যাংকে জমা না হয়ে হাফতারের কাছেই জমা হচ্ছে। এটা দিয়ে হাফতার অস্ত্র সংগ্রহ করছেন। লিবিয়ার সেনাবাহিনীতে এখন বড় জোর ৩০ হাজার সেনা রয়েছে। গাদ্দাফি হত্যার পরপর তা পুনর্গঠন করা হয় ২০১১ সালে।

হাফতারের ন্যাশনাল আর্মি ২০১৪ সালে গঠন করা হয়। তিনি চান, কোনো ইসলামি দল লিবিয়ায় থাকবে না। তখন ইসলামি দলগুলো মিলে হাফতারকে আক্রমণ করে ত্রিপলি বিমানবন্দর দখল করে নেয়। হাফতারের দল আলজিরিয়া, সৌদি আরব, মিসর, আমিরাত এবং ইদানীং রাাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে। আরেক দল হলো আল সায়কা ব্রিগেড। এরাও ইসলামি দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়ছে এবং হাফতারকে সহায়তা করছে। আল সিরিয়ান বিপ্লবী ব্রিগেড দলও হাফতারকে সহায়তা করে। তাদের দলে ১৮ হাজার সেনা রয়েছে। মিসরাতা ব্রিগেড- এই যোদ্ধাদের কাতার সহায়তা দেয়। তারা মূলত মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে এসেছে।

তাদের দলে ৪০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে। মিসরাতা শহরে তাদের মূল ঘাঁটি, ত্রিপলি থেকে যা ২১০ কিলোমিটার দূরে। তবে তারা যোদ্ধা হলেও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়। এরাই হাফতারের মূল শত্রু। এরা ছাড়াও বিদ্রোহী যোদ্ধার আরো চারটি বড় বড় দল রয়েছে। ছোট ছোট উপদলের অভাব নেই। সাধারণ মানুষ এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দিয়ে উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হচ্ছে।

সম্প্রতি লিবিয়া সীমান্তের কাছে মিসরের পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও ক‚টনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এ পদক্ষেপে লিবিয়ায় মস্কোর গভীর সংশ্লিষ্টতার বিষয় ফুটে উঠেছে, যা ওয়াশিংটনের জন্য উদ্বেগের।

যুক্তরাষ্ট্র ও কূটনীতিকরা বলেছেন, লিবিয়ার বিদ্রোহী সেনা কমান্ডার জে. খলিফা হাফতারের হাতকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে রাশিয়া এ সেনা মোতায়েন করেছে। গত ৩ মার্চ হাফতারের বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্র হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে যায়। বেনগাজি ডিফেন্স ব্রিগেডের যোদ্ধারা তার বাহিনীকে তেলক্ষেত্রগুলো থেকে হটিয়ে দিয়েছিল।

রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী ও ড্রোন বহর মিসরের সিদি বারানি বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘাঁটিটি লিবিয়া সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তারা বলেন, রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর ২২ সদস্যের একটি ইউনিটকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আরো আগে মিসরের মারসা মাতরুহ ঘাঁটি ব্যবহার করেছিল। মিসর তার ভূখণ্ডে রাশিয়ার কোনো সেনা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

মিসরীয় সূত্র জানায়, রাশিয়া সামরিক বিমানের প্রায় ছয়টি ইউনিটকে মারসা মাতরুহ ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। বেনগাজির কাছে বেনাইনা বিমান ঘাঁটির কমান্ডার মোহাম্মাদ মানফুর হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) রাশিয়া বা দেশটির সামরিক ঠিকাদারদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার কোনো ঘাঁটি নেই। গত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি পশ্চিমা দেশ লিবিয়ায় বিশেষ বাহিনী ও সামরিক উপদেষ্টাদের পাঠিয়েছে। এ ছাড়া সিরত থেকে আইএসকে উৎখাত করতে মার্কিন বাহিনী সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে।

উত্তর আফ্রিকায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় মস্কোর মতলব নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসঙ্ঘসমর্থিত ত্রিপোলি সরকারের সাথে হাফতারের অচলাবস্থা চলছে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওই সরকার ও হাফতার, উভয়ের সাথে বৈঠক করেছেন। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হাতকে শক্তিশালী করতে রাশিয়া সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছে যা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য বেশ অস্বস্তির কারণ। এখন হাফতারের হাতকে শক্তিশালী করতে মস্কো প্রকাশ্যে তাকে সমর্থন দিলে, তা তাদের জন্য আরো দুশ্চিন্তার কারণ হবে।

এখন হাফতার ক্রিসেন্ট অয়েল ফিল্ড এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। এটি লিবিয়ার বৃহত্তম তেলক্ষেত্র। এখানে তেলের ৮০ শতাংশ মজুদ রয়েছে। আল সিদরা দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল ক্ষেত্রে। দু’বছর আগে হাফতার ক্রিসেন্ট এলাকা দখল করে এর নিয়ন্ত্রণ নেন। আরো এক বড় তৈলক্ষেত্র রাস লানুফ। এখানে প্রতিদিন চার লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করা হয়। আল সিদরা থেকে প্রতিদিন দুই লাখ ২০ হাজার ব্যারেল উৎপাদন ও রফতানি করা হয়। লিবিয়ায় পাঁচটি প্রধান পোর্ট রয়েছে- রাস লানুফ ও আল সিদরা এদের অন্তর্ভুক্ত।

সশস্ত্র যোদ্ধারা বন্দর দু’টি বিভিন্ন টার্মিনালে হামলা করে থাকে তেলক্ষেত্র দখলের জন্য। এনওসি বা জাতীয় তেল করপোরেশন হাফতারের হাত থেকে তেল সম্পদ বাঁচনোর জন্য বিশ্ব দরবারে ও জাতিসঙ্ঘে আবেদন করছে। কে শোনে কার কথা? বড় বড় পশ্চিমা দেশ পেছনের দরজা দিয়েই কম মূল্যে, কখনো অস্ত্র, ঔষধ ও খাবারের বিনিময়ে লিবিয়ার তেল সম্পদ লুট করে চলছে।

এখন পশ্চিমারা বলছে, লিবিয়া একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’! তবে এই পরিণতির জন্য কারা দায়ী তা বলছে না। ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো, কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব না থাকা। লিবিয়ায় কেউ কারো কথা শুনছে না। কারণ সবাই ক্ষমতা চায়। জাতিসঙ্ঘ মরক্কোতে ২০১৫ সালে যে শান্তিচুক্তি করেছিল, তাও ব্যর্থ হয়েছে। ত্রিপলির নামমাত্র সরকারের সেনা বা তেলক‚পে মূলত কোনো কর্তৃত্ব নেই। ইরাক ও সিরিয়া যেভাবে তছনছ হয়েছে, সেভাবে লিবিয়াও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কাজ, খাবার ও ওষুধের অভাবে মরণাপন্ন সাধারণ মানুষ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। অথচ ইতালি একসময় জনসংখ্যার চাপ সামলাতে লিবিয়াতে পাড়ি জমিয়েছিল। লিবিয়ার ৩০ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছে, ১৫ লাখ মানুষকে জরুরি মানবিক সহায়তা না দিলে তারা মরতে শুরু করবে। জাতিসঙ্ঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছে না। তারা এখন গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনকে দোষ দিচ্ছে। একটি সুন্দর দেশকে জোট পাকিয়ে যে শেষ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে এবং ইচ্ছামতো তেল লুট করা হচ্ছে, তা আর বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, লিবিয়ায় ‘স্ট্রং ম্যান’ ছিল কিন্তু ‘স্ট্রং ইনসটিটিউশন’ ছিল না। তখন পশ্চিমার প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের কাজে এগিয়ে না এসে এখন কেন এসব কথা বলছে?

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা ফক্স নিউজে এক সাক্ষৎকারে বলেছেন, গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত তার প্রেসিডেন্সির সবচেয়ে ‘মারাত্মক ভুল’। এটি না হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ দরকার ছিল। তার মতে, আইএস সেখানে এখন খুব শক্তিশালী। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যাচ্ছে না। এখন তারা কোনো যুদ্ধ করছে না। তাদের চিহ্নিত করাও কঠিন। ওবামা গাদ্দাফিকে হত্যার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির ভূমিকার সমালোচন করেন। দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনের মার্চ ২০১৬ সংখ্যায় সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, ক্যামেরন ‘বিভ্রান্ত হয়েছেন’ এবং সারকোজি ‘অগ্রণী ভূমিকা’ নিয়েছেন। অথচ এই সেই সারকোজি যার নির্বাচনের খরচ মেটানোর জন্য লাখ লাখ ডলার গাদ্দাফি দিয়েছিলেন। সেসব ডকুমেন্ট ও কাগজপত্র এখন ফ্রান্সের আদালতে। আমরা দেখব অনৈতিক কাজ, বিদেশী অর্থে নির্বাচন ও বিশ্বাসঘাতকতার কোনো বিচার হয় কি না।

জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ‘লিবিয়ার এই সমস্যা কত দিনে দূর হবে?’ উত্তর, ‘৮-১২ বছর লাগতে পারে।’ এতদিনে লিবিয়ার সমস্যা হয়তো এমনিতে মিটে যাবে, তবে থাকবে না তেল। 


লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব
বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন : ডেপুটি গভর্নর ইসরাইলি হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত আফগানিস্তানে গুলিতে ৩ স্প্যানিশ ও ৩ আফগান নিহত বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করল ইরান কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’

সকল