১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইরানে হামলার পরিকল্পনা জোরালো করার ঘোষণা ইসরাইলের

তেহরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভুল হবে : ইসরাইলি সামরিক প্রধান
-

ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিকল্পনা জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোহাবি। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল স্টাডিজে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান। তেহরানের সাথে করা পারমাণবিক চুক্তিতে যেকোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসাটা ‘ভুল’ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
গত মঙ্গলবার তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল স্টাডিজে দেয়া এক বক্তৃতায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোহাবি বলেছেন, ‘২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসা, অথবা যদি বেশ কিছু সংস্কারসহ একই ধরনের সমঝোতা হয়, তা অভিযান ও কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে খারাপ ও ভুল হবে।’
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আমি ইরানের হামলার ব্যাপারে বিদ্যমান পরিকল্পনার পাশাপাশি বাড়তি অনেকগুলো অভিযান পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছি। এগুলো বাস্তবায়নের বিষয়টি রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করলেও এসব পরিকল্পনা তৈরি থাকা প্রয়োজন।
ইরানের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিতে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের দিকে অগ্রসর হওয়ারও অভিযোগ করেন জেনারেল আবিব কোহাবি। ফলে তেহরানের সাথে করা পারমাণবিক চুক্তিতে যে কোনোভাবে ফিরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভুল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। দাবি করেন, নতুন করে একই ধরনের সমঝোতা করা হলে সেটিও হবে কৌশলগতভাবে ভুল সিদ্ধান্ত।
দৃশ্যত নিজ দেশের সরকারের অনুমোদন নিয়েই এসব মন্তব্য করলেন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রধান। এর মধ্য দিয়ে তেহরানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের কাছে ইসরাইলের বার্তা পৌঁছে দিলেন তিনি। তেল আবিব চাইছে, বাইডেন প্রশাসন যেন কোনোভাবেই তেহরানের সাথে নতুন করে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কে না জড়ায়।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রধান এমন সময়ে এসব মন্তব্য করলেন যার ক’দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রচ্ছন্ন সহযোগিতার ইঙ্গিত দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ। এক সাক্ষাৎকারে জারিফ বলেন, আমার ব্যক্তিগত মত হলো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক নির্দিষ্ট করা উচিত। ওয়াশিংটনকে বলা দরকার যে, ইসরাইল ইস্যুতে আমরা তোমাদের সাথে কোনো সহযোগিতা করব না। আমাদের ভিন্নমত থাকবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপও বরদাশত করা হবে না। তবে তেলের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ইস্যুতে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রেও কোনো সঙ্কট নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরে গেলে তেহরানের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অবনতি হয়। ইরানের বিরুদ্ধে পুরনো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আবারো জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার

সকল