১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে ফের আলোচনার উদ্যোগ চীন-যুক্তরাষ্ট্রের

-

বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে নতুন করে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যকার আসন্ন বৈঠককে সামনে রেখে এ ধরনের আলোচনার কথা বিবেচনা করছে দুই দেশের কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, জাপানের ওসাকায় জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই নেতার বৈঠকের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে চীনের পক্ষ থেকে দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও ভেনু নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
টুইটারে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে টেলিফোনে চমৎকার কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে জাপানে জি-২০ সম্মেলনে আমাদের একটি বিশদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের আগে আমাদের টিম এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করবে।
এমন সময়ে দুই নেতার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে উভয় দেশের সম্পর্কে অস্বস্তি বিরাজ করছে। বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চীনের জনগণের আকাক্সক্ষাকে অবজ্ঞা করেছে বলে মন্তব্য করেছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় সাময়িকী কুয়োশি। গত রোববার কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শিক এই সাময়িকীতে প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ নিরসনের আলোচনায় মূল নীতিতে ছাড় দেবে না চীন। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের জন্য বেইজিং প্রস্তুত রয়েছে।
চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনায় বসলেও কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয় তা। আসন্ন ট্রাম্প-শি জিনপিং বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
রোববার কুয়োশিতে প্রকাশিত মন্তব্য কলামে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিরোধের তীব্রতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের হুমকি বা চাপের মুখে চীন ভীত হবে না। চীনের সামনে যেমন কোনো বিকল্প নেই, তেমনি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায়ও নেই, কেবল শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা শক্তির চীনা জনগণের এই ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞাকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে কুয়োশির মন্তব্য কলামে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ওয়াশিংটনের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্তব্য কলামে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের যুগে বাণিজ্যিক সুরক্ষা হলো বিষ, কোনো সর্বরোগের ওষুধ নয়। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন খরচ বাড়াবে, আর মার্কিন ভোক্তাদের মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দেবে। গুটিকয়েক মার্কিন নাগরিক বাণিজ্য বিরোধের কারণে সুবিধা পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দুর্ভোগে পড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement
আবারো ভারতের নির্বাচন তাপপ্রবাহের মুখে, সতর্ক করল আবহাওয়া ব্যুরো সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনব : নেতানিয়াহু বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু বোরোর ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী আত্মরক্ষার অধিকার বৈধতা দেয় না গণহত্যাকে চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহী সার্বিয়া ডিমের ডজন ১৫০ ছাড়িয়েছে, নাগালে আসছে না মাছ ও সবজি যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না : মার্কিন উপ-মুখপাত্র শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত

সকল