১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ছাড়িয়েছে

-

বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, সঙ্ঘাত ও নির্যাতনের কারণে দেশ ছেড়ে অথবা নিজ বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা সাত কোটি ছাড়িয়েছে। গ্লোবাল ট্রেন্ডসের বার্ষিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির ৭০ বছরের কার্যক্রমের মধ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষের এই সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি।
গ্লোবাল ট্রেন্ডসের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালের চেয়ে ২৩ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে দাঁড়িয়েছে সাত কোটি আট লাখে। ২০ বছর আগের চেয়ে এই সংখ্যাটি দ্বিগুণ। এই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানান, যুদ্ধ, সঙ্ঘাত, নির্যাতনের কারণে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে এই সংখ্যাটি আরো বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভেনিজুয়েলা থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এই রিপোর্টে পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই সংখ্যাটি আরো বাড়বে। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ভেনিজুয়েলার বাসিন্দারা দেশত্যাগ করে পেরুসহ পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্বাস্তু সমস্যা।
বাস্তুচ্যুত মানুষকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করে বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি করেছে গ্লোবাল ট্রেন্ডস। বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে একটি অংশ যারা যুদ্ধ, সঙ্ঘাত ও নির্যাতনের কারণে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৮ সালে ৫৫ লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু ধরে এই সংখ্যাটি দুই কোটি পাঁচ লাখ ৯০ হাজারে পৌঁছেছে, যা ২০১৭ সালের চেয়ে পাঁচ লাখ বেশি।
এসবের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সিরিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার ও সোমালিয়ার নাগরিক। এর মধ্যে ৬৭ লাখ শুধু সিরিয়ার নাগরিক। এরপরেই রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটি থেকে শরণার্থী হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন আশ্রয় নেয়া নাগরিকের সংখ্যা ২৭ লাখ।
যাদের মধ্যে গত বছর মাত্র ৯২ হাজার ৪০০ জনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে, যা পুনর্বাসনের অপেক্ষায় থাকা শরণার্থীদের মাত্র সাত শতাংশ। বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। এই সংখ্যাটি গত বছর ৩৫ লাখে পৌঁছেছে। নিরাপত্তা চেয়ে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে অবস্থান করা এই বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদা দেয়া হয় না।
বাস্তুচ্যুতদের তালিকায় তৃতীয় অংশটি হলো দেশের অভ্যন্তরীণ মানুষ। যারা বিভিন্ন কারণে দেশের মধ্যে উদ্বাস্তু হিসেবে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যাটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার পৌঁছেছে। বাস্তুচ্যুত এই তালিকায় নতুন করে জায়গা পেয়েছে ১৫ লাখেরও বেশি ইথিওপিয়ার নাগরিক। যার মধ্যে ৯৮ শতাংশ দেশটির অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হিসেবে অবস্থান করছে। দেশটিতে জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত এই মানুষের সংখ্যা ২০০৯ সালের পর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় এই সংখ্যা ছিল ৪৩ লাখ ৩০ হাজার। কিন্তু সিরিয়া সঙ্ঘাতের কারণে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক, ইয়েমেন ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গো ও দক্ষিণ সুদানে এখনো সঙ্ঘাত চলমান রয়েছে। ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরো দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দরিদ্র দেশগুলো বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে
জাতিসঙ্ঘ গতকাল বুধবার আরো জানিয়েছে, পশ্চিমা সমৃদ্ধ দেশগুলোর চেয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো বেশি উদ্বাস্তু সঙ্কটের ঝুঁকি বহন করছে। বাস্তুচ্যুত সাত কোটি আট লাখ মানুষের বেশির ভাগই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। গ্লোবল ট্রেন্ডস তার বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে, গত ৭০ বছরের মধ্যে গত বছর বাস্তুচ্যুত হওয়াদের মধ্যে অর্ধেক শিশু।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় : অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার বগুড়ায় ৫২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১ গাজা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে ইসরাইল : সাবেক মোসাদ উপ-প্রধান হালুয়াঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু আফগানিস্তানে নতুন করে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু বগুড়ায় বন্ধু হত্যার ঘটনায় সৈনিক লীগ সভাপতি গ্রেফতার ইয়েমেনে তেলের ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অলিম্পিকে ইকুয়েস্ট্রিয়ানে পদক জেতার আশা সৌদি আরবের ভালুকায় কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে হিজবুল্লাহ, স্বীকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার : প্রধান বিচারপতি

সকল