০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া বন্ধের হুমকি উত্তর কোরিয়ার

-

উত্তর কোরিয়া বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের। উত্তর কোরিয়ার তিন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় পিয়ংইয়ং বলেছে, ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। দেশটি তার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় একটি খসড়া রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার তিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ দেশটির সরকারের অবস্থান ঘোষণা করে জানিয়েছে, গত জুন মাসে সিঙ্গাপুরে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকের পর মার্কিন কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন, যা ওই বৈঠকের পরিপন্থী। উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ আরো যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা। কেসিএনএ আরো বলেছে, মার্কিন সরকার গত ছয় মাসে অন্তত আটবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
চলতি গ্রীষ্মে উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতাদের মধ্যে ঐতিহাসিক আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত হওয়ার পথ তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় আলোচনার পথ বন্ধ হতে চলেছে। তবে এই আলোচনার বিষয়ে চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এত তাড়াহুড়ো করতে চাননি। উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। জুনের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে আরো বৈঠকের বিষয়ে আশা প্রকাশ করা হলেও তা নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে চলতি বছর উত্তপ্ত সম্পর্ক অনেকটা শীতল হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত জুনে পিয়ংইয়ং নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সিঙ্গাপুরে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে স্থবির হয়ে পড়া আলোচনায় অগ্রগতি হয় এবং পিয়ংইয়ংরে ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে দেশটি পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে সম্মত হয়। কিন্তু সিঙ্গাপুরে এ দুই নেতার নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে একটি অস্পষ্ট চুক্তি স্বাক্ষরের পরও এক্ষেত্রে দৃশ্যমান তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। পিয়ংইয়ং এখন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি এবং উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গুণ্ডা বাহিনীর মতো’ চাপাচাপির কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement