১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


আইনস্টাইনের ভ্রমণ ডায়েরিতে জাতিবিদ্বেষের তথ্য

-

নতুন প্রকাশিত ব্যক্তিগত ভ্রমণ ডায়েরি থেকে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জাতিবিদ্বেষী ও বিদেশীদের প্রতি ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানা গেছে। ১৯২২ সালের অক্টোবর থেকে ১৯২৩-এর মার্চের মধ্যে লেখা ডায়েরিগুলোয় এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বিবরণ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন তরুণ আইনস্টাইন।
এগুলোতে তিনি ব্যাপক নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, যেমন চীনাদের বলেছেন ‘পরিশ্রমী, অত্যন্ত নোংরা ও স্থূলবুদ্ধি মানুষজন।’ পরে যুক্তরাষ্ট্রে অপেক্ষাকৃত পরিণত বয়সে আইনস্টাইন নাগরিক অধিকারের একজন আজীবন সমর্থকে পরিণত হয়েছিলেন, জাতিবিদ্বেষকে ‘সাদা মানুষদের রোগ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। প্রথমবারের মতো ওই ডায়েরিগুলোর পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। ‘দ্য ট্রাভেল ডায়েরিজ অব আলবার্ট আইনস্টাইন : দ্য ফার ইস্ট, প্যালেস্টাইন অ্যান্ড স্পেন, ১৯২২-১৯২৩’ শিরোনামে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ক্যালটেক) আইনস্টাইন পেপার্স প্রজেক্টের সহকারী পরিচালক ঝিভ রোজেনক্রাঞ্জের সম্পাদনায় ডায়েরিগুলো প্রকাশিত হয়েছে। ওই সময়টিতে আইনস্টাইন স্পেন হয়ে মধ্যপ্রাচ্য যান, সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা (ওই সময়ের সিলন বা সিংহল) হয়ে চীন ও জাপানে যান।
মিসরের পোর্ট সাইদে পৌঁছানোর পর পণ্য বিক্রি করতে যেসব লোক জাহাজে উঠেছিল তাদের বর্ণনায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রত্যেকটি শেডের নিচে লেভান্ত থেকে আসা লোকজন, যেন সব নরক থেকে বের হয়ে এসেছে।’ শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে কাটানো সময়ে ওই এলাকার লোকজন সম্পর্কে অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করেছেন তিনি; লিখেছেন, ‘তারা মাটির ওপর অত্যন্ত নোংরা ও পূতিগন্ধময়তার মধ্যে বসবাস করে। কাজ করে অল্প, প্রয়োজনও সামান্য।’
কিন্তু বিখ্যাত এই পদার্থবিজ্ঞানী সবচেয়ে তীব্র মন্তব্যগুলো করেছেন চীনাদের নিয়ে। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ডায়েরিগুলোর একটি অংশ অনুযায়ী আইনস্টাইন চীনা শিশুদের বর্ণনা করেছেন ‘নির্জীব ও নির্বোধ’ বলে; ‘এই চীনারা যদি অন্য জাতিগুলোর স্থান দখল করে তা দুঃখজনক হবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ডায়েরির আরেক জায়গায় চীনকে তিনি ‘একটি অদ্ভুত পশুর মতো জাতি’ এবং ‘মানুষের চেয়েও মানুষের মতো দেখতে যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন।
চীনা পুরুষদের ও নারীদের মধ্যে ‘পার্থক্য সামান্য’ এই দাবি করে চীনা পুরুষরা কিভাবে নারীদের ‘মারাত্মক আকর্ষণ’ থেকে ‘তাদের রক্ষা করতে অক্ষম হয়’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আইনস্টাইন একই সাথে তার বৈজ্ঞানিক প্রতিভা ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য খ্যাতিমান। ১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার এবং তার নাৎসি পার্টি জার্মানির ক্ষমতায় এলে তিনি দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান ও সেদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ইহুদি এই বিজ্ঞানী ১৯৪৬ সালে পেনসিলভ্যাইনিয়ার লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া ভাষণে জাতিবিদ্বেষকে ‘সাদা মানুষদের রোগ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী

সকল