মেলা চেষ্টা করলাম। অহনো এডা কার্ড অইলো না। মেম্বার চেয়ারম্যানদের কইলাম। কেউ আমার কথা শুনলোনা। আপনারাই কন আর কত বয়স অইলে আমার কার্ড অইবো। কথাগুলো ৯৬ বছরের বৃদ্ধা মমেনা বেগমের। এত বছরেও তার বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের ভটপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মমেনা বেগমের স্বামীর নাম মৃত মজিবর আলী। তার বাবার নাম মৃত সোবাহান শেখ আর মা মৃত সিন্দুরি বেওয়া। এক ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়ে দুটিকে বিয়ে দিয়েছে অন্যত্র। ছেলেটাও দীর্ঘদিন যাবত অসুখে ভোগছে। মমেনা বেগম থাকেন ছেলের সাথে একটি ঝুপড়ি ঘরে। সেটিও অন্যের জমিতে।
৯৬ বছর বয়সের হতদরিদ্র এ বৃদ্ধা আগে এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে জীবন চালিয়েছেন। এখন আর হাটাচলা করতে পারেনা। ঝুপড়ি ঘরেই শুয়ে বসে থাকেন। কেউ খাবার দিলে খাওয়া হয় না হয় উপোষ। চেয়ে থাকেন নিয়তির দিকে।
এ ব্যাপারে কথা হয় ওই বৃদ্ধার ছেলে সুরুজ মিয়া সাথে। তিনি বলেন, আমার বয়স প্রায় ৭০ বছর। আমি নিজেও অসুখে ভোগছি। আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন অসুখের কারণে তাও করতে পারিনা। এখন নিয়তি ছাড়া আমগোর আর উপায় নাই।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লূৎফর রহমান বলেন, তারা আমার কাছে এসেছিল। তাদের দুরাবস্থা দেখে আমি তার নাম তালিকা করে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন জানতে পারলাম তালিকায় তার নাম নেই।
উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সরকার নাছিমা আকতার বলেন, আমি তার নাম লিখে নিলাম। তার নাম কার্ডের তালিকা অন্তর্ভুক্তির জন্যে গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা