১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


নেত্রকোনায় 'ক্রসফায়ারে' দুই যুবক নিহত

-

বিরোধী অভিযানে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নেত্রকোনায় অজ্ঞাত আরো দুই যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্প্রতিবার রাত আনুমানিক ২ টায় সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মনাং ইটাখলার পাশের বাগানে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে ক্রসফায়ারে তিন যুবক নিহত হন।
নেত্রকোনা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, মাদক বেচাকেনার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্প্রতিবার গভীর রাতে মডেল থানা পুলিশ সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মনাং ইটাখলার পাশের বাগানে পৌঁছলে মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় আত্ম-রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয়ের মধ্যে বন্দুক শুরু হয়। এ সময় অজ্ঞাত নামক দুই মাদক বিক্রেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
বন্দুকযুদ্ধে এস আই জলিল, এ এস আই জাকির ও কনস্টেবল ওয়াহিদুল ইসলাম আহত হন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পাইপ গান, ৭শ’ ৫ গ্রাম হেরোইন, ৩ হাজার ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় । নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত অজ্ঞাত দুই মাদক বিক্রেতার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত কাগজপত্র দেখে তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলায় হতে পারে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। নিহতদের ছবি কক্সবাজার জেলা পুলিশের নিকট পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার গভীর রাতে নেত্রকোনা পৌর এলাকার পশ্চিম নাগড়ার গাইনপাড়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে মোঃ আমজাদ হোসেন (৩৫) নামে জেলা ছাত্রদলের সক্রিয় নেতাকে আটক করে বড়ওয়ারী ঘাটে নেয়ার পর পুলিশ হেফাজতে একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন। এতে স্বজন, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পুলিশের দাবি মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি আমজাদ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। শুক্রবার বিকেলে এই রিপোর্ট লেখাকালীন সময় পর্যন্ত নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পড়ে থাকা গুঁলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওই দুই যুবকের লাশের সন্ধানে কাউকে খোঁজখবর করতে দেখা যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement