বাংলাদেশ পাটের উন্নয়নে যেভাবে কাজ করছে তাতে শিগগিরই পাট উৎপাদনে প্রথম স্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বৈশ্বিক পরিবেশকে ঠিক রাখতে পাট উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক আবদুল আউয়াল।
গতকাল বিজেআরআই আয়োজিত গবেষকদের গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদান সংক্রান্ত ৯টি প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ফলাফল পর্যালোচনা শীর্ষক সেমিনারেও তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশে বীজের চাহিদা প্রায় ৪-৫ হাজার মেট্রিক টন। এই চাহিদার ২৮ শতাংশ উৎপাদন করে বাংলাদেশ, বাকি ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে সরকারের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। বিজেআরআই আবিষ্কৃত ক্রপিং প্যাটার্ন পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশে পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা-উত্তরকালে বাংলাদেশে পাট উৎপাদিত জমির পরিমাণ ছিল ৮ লাখ হেক্টর, উৎপাদন ছিল ১২ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫ লাখ হেক্টর কিন্তু উৎপাদন হয় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। ‘আমার বীজ আমি করব’ স্লোগান সামনে রেখে বিজেআরআই কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ওয়ায়েস কবির বলেন, আজকের পৃথিবীতে যেখানে পরিবেশ এবং জলবায়ু দুটি খুবই চিন্তার বিষয় সেখানে পাটের ভূমিকা অনেক বেশি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে পাট উৎপাদন করা হয় জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য, তাই সারা বাংলাদেশে কৃষি পর্যায়ে কৃষককে কিছু পাট উৎপাদন করতেই হয়। সে কারণে পাট ছিল, আছে, থাকবে। তবে পাটের গবেষণায় একটি বড় অসুবিধা হলো আন্তর্জাতিকভাবে ধানের গবেষণার জন্য আছে ইরি, গম ও ভুট্টার জন্য রয়েছে সিমিট কিন্তু পাটের জন্য তেমন কোনো গবেষণা সেন্টার নেই। এ জন্য আন্তর্জাতিক যত কৃষি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের উচিত পাট নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করা।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাথু রাম সরকার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ড. মনোয়ার করিম খান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা