বরিশালে আইএইচটির ২ ছাত্রকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগের মারধর

ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) বরিশালের দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ বরিশাল নগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও আইএইচটিয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান শাকিলসহ তার ২০-২৫ অনুসারীর বিরুদ্ধে। গত রোববার সন্ধ্যায় বান্দ রোড ও বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে চাঁনমারি এলাকায় আটকে মারধর করা হয়। এমন অভিযোগ তুলে সোমবার সকালে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় আহতরা দুইটি পৃথক অভিযোগ দিয়েছে। তারা দু’জন বর্তমানে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি আরিচুল হক। আহতদের একজন শাহরিয়ারের অভিযোগ, আইএইচটির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের সাথে রাজনীতি না করায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
আহতরা হলো- আইএইচটি বরিশালের রেডিওলজি বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক, একই ব্যাচের ল্যাবরেটরি শিক্ষার্থী মো: শাহরিয়ার। আহত তাহমিদুল হক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আরিফুর রহমান শাকিল, সম্রাট, সুমন, ফরহাদ ও অপুসহ ২০-২৫ জন মোটরসাইকেলে এসে তাহমিদুলকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর চাঁনমারী এলাকার ইটখোলায় নিয়ে মারধর ও টাকা দাবি করা হয়। এ সময় জীবননাশের হুমকিও দেয়।

এ দিকে আহত অপর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার জানিয়েছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য রোববার সন্ধ্যায় নগরীর সার্কিট হাউজের সামনের অফিস যান। সেখানে থেকে নেতাদের সাথে দেখা করে নগরীর চাঁদমারী এলাকার বান্দরোড সংলগ্ন একটি হোটেলে নাশতা করেন। নাশতা করে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় আরিফুর রহমান শাকিলের নেতৃত্বে ১০-১৫টি মোটরসাইকেল এসে তাহমিদকে তুলে নিয়ে যায়।
আহত শাহরিয়ার আরো বলেন, এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যান এলাকা থেকে তাকেও (শাহরিয়ার) তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। আমরা আইএইচটির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের রাজনীতি না করায় এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি (শাকিল) এখন যুবলীগ নেতাও, তার সঙ্গে ছাত্রলীগের ছেলেরা কেন রাজনীতি করবে?
এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত আরিফুর রহমান শাকিল বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা। তারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে আমাদের বিরুদ্ধে দায় চাপাচ্ছে। রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য এ কথা বলে বেড়াচ্ছে।
ওসি আরিচুল হক বলেন, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপে আগে থেকেই বিরোধ রয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।