ইছামতি থেকে বালু তোলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ সালমান রহমানের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ঢাকার নবাবগঞ্জে বছরের পর বছর ধরে ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে একদল অসাধু চক্র। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উপজলো নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করলেও নদী থেকে বালু তোলা বন্ধ হয়নি।
এ অবস্থায় বিষয়টি নজরে আনা হয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের। তিনি সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং বালু উত্তোলন বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
গত রোববার দুপুরে উপজলো প্রশাসনকে না জানিয়ে বালু উত্তোলনের ঘটনাস্থল স্থানীয় ভাঙাভিটা এলাকার ইছামতি নদী পরিদর্শনে যান সালমান এফ রহমান। সেখানকার শত শত বাসিন্দা তাকে জানান, একটি প্রভাবশালী মহল র্দীঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ও কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পরে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দিয়ে ইছামতি নদীর পানির গভীরতা পরিমাপ করান। সাধারণত নদীর পানির গভীরতা ১৫-২০ ফুট থাকার কথা। কিন্তু ঘটনাস্থলে দখো যায় বালু উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা ৭০-৮০ ফুট হয়ে গেছে। তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, ৩০ বছর যাবৎ ফসলি জমি ও ইছামতি নদী থেেক মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে চক্রের মূল হোতা স্থানীয় ড্রেজার মালিক খুদু মেম্বার ও তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক হিরু। গত ১১ এপ্রিল ঢাকা মহানগরের (উত্তর) শেরেবাংলা নগর থানা শাখার সহসভাপতি সম্রাট হোসাইন তন্ময় এলাকার ফসলি জমি ও ইছামতি নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে ও ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা এবং তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা