২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিটিএমএর অভিযোগ

বাড়তি দাম নিয়েও গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার ব্যর্থ

-


বাড়তি দাম নিয়েও সরকার চাহিদামতো গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘টেক্সটাইল খাতে বিরাজমান সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সময় আমাদের বলা হলো নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ থাকবে শিল্পে, কিন্তু আমরা পাইনি। আমাদের সদস্য মিলগুলো অধিকাংশই ভারী শিল্প ও ক্যাপিটাল ইনটেনসিভ। খাতটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মেশিনারিজ দিয়ে পরিচালিত। তৈরি পণ্যের, সুতা ও কাপড়ের মান অক্ষুণ্ণ ও মানসম্পন্ন ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিংয়ের জন্য মিলগুলো সবসময় চালু রাখতে হয়।

তিনি বলেন, সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছিল না। তাই আমাদের ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশনে উৎসাহিত করা হয়। এ লক্ষ্যে আমাদের বিদ্যুৎ জেনারেশনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে হয়। এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে জেনারেটর এবং গ্যাস সংযোগের জন্য নিরাপত্তা জামানত হিসেবে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হয়েছে। অন্য দিকে গ্যাস বিল হিসেবে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়।

বিশ্ববাজারে তুলার অস্থিতিশীল বাজার, কলকারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ না থাকার পরও অতিরিক্ত বিল ও জামানতের কারণে গেল ১৫ মাসে দেশের স্পিনিং মিলগুলো প্রায় চার বিলিয়ন ডলার লোকসান গুনছে, যা টাকায় প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বন্ডেড ওয়্যার হাউজের মাধ্যমে পাকিস্তান, ভারতের মতো দেশগুলো থেকে আমদানি করা সুতা ও কাপড় অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিপাকে আছেন টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement