১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


ছেলেকে খুন করে আত্মহত্যার নাটক সাজান মা কুলসুম

-

শাসন করতে গিয়ে মায়ের বেদড়ক পিটুনিতে মারা যান নগরের আকবর শাহ থানা এলাকার মোহাম্মদ হাসান নামের ১৪ বছরের এক কিশোর। এ ঘটনাকে ভিন্ন রূপ দিতে মা ছেলের আত্মহত্যার নাটক সাজায়। তার পরও সত্য বেরিয়ে এলো পুলিশের তদন্তে। গত রোববার রাতে মায়ের হাতে ছেলের এ মর্মান্তিক ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল না, মায়ের অসতর্কতার কারণে ছেলের করুণ মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার হাসানের বাবা বেলাল হোসেন বাদি হয়ে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করেন। এরপর কিশোরটির মা কুলসুম বেগম (৩৮) ও মামা ফারুক ইসলামকে (২৪) পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর কুলসুম বেগম গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
পুলিশ জানায়, হাসানের বাবা বেলালের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী কুলসুম বেগম নগরীর আকবর শাহ থানার বিশ্বকলোনি আল হেরা মসজিদ গলিতে আলাদা বাসায় বসবাস করেন।
হাসানের বাবা বেলাল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, তার ছেলে হাসান নগরীর চার নম্বর রুটের বাসের চালকের সহকারী হিসেবে এক সময় চাকরি করত। কিন্তু বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে তাকে বের করে দেয়া হয়। এরপর কুলসুম হাসানের মা তাকে দৈনিক ১৫০ টাকা বেতনে হাটহাজারী উপজেলায় একটি কুলিং কর্নারে চাকরি নিয়ে দেন।
কুলসুম আদালতকে জানায়, গত রোববার হসান কুলিং কর্নারে তার মামা নুরনবী ইসলাম সোহেলের মানিব্যাগ থেকে এক হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে শহরে মায়ের বাসায় চলে আসে। সোহেল বিষয়টি কুলসুমকে জানানোর পর তিনি ক্ষুব্ধ হন। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে ছেলেকে শাসন করতে গিয়ে বেদমভাবে মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে ছেলেকে ধাক্কা দেন। এতে হাসান ছিটকে পড়ে খাটের লোহার অ্যাঙ্গেলের সাথে লেগে মাথার পেছনে গুরুতর আঘাত পায়। এতে রক্তরণ হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে হাসান। ছেলের সাড়াশব্দ না পেয়ে কুলসুম ভয় পেয়ে যান। সেই খুনের ঘটনা আড়াল করতে ছেলের লাশ ঝুলিয়ে রাখে বাসার চালের রডের সাথে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল