২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ মার্চের কর্মসূচি পালন

-

চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে যথাযথভাবে উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রোববার সকালে রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূতসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফুলের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর পাঠ করা হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বার্তা।
বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় বেলা ১টায় দূতাবাসর উদ্যোগে ৭ মার্চের ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য; বঙ্গবন্ধুর কূটনীতি ও বৈদেশিক নীতি’ শীর্ষক অনলাইন ভিত্তিক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
দূতাবাসের মিনিস্টার ড. এম নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, বর্তমান বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
মূল আলোচনায় অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক তীক্ষèতা, দক্ষতা এবং কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা এবং পাশাপাশি তার অতিশয় শক্তিশালী কারিশমার কারণে বঙ্গবন্ধু নীতি নির্ধারণ ও নতুন দেশ গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন কিছু উল্লেখযোগ্য বক্তব্য দিয়েছেন যা বাংলাদেশের বিদেশ নীতিকে পূর্বনির্দেশিত করেছিল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান, চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরোর প্রধান ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি, বেইজিং বিদেশ অধ্যায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চাং ছিয়ং।
রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে তুলে ধরেন যে ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে উৎসাহিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরোর প্রধান ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের মূল মন্ত্র হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ ভাষণ স্বাধীনতার এক অমর কাব্য হয়ে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন চীনে বাংলাদেশী শিক্ষক ড. আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ-চীন শিল্প ও বণিক সমিতি যুগ্ম সম্পাদক আল মামুন মৃধা। বেইজিংয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা হলেন আভা সু, হিয়া, দিশা ও অনুপমা ইয়াং।
বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী, চীনের সরকারি কর্মকর্তা, চীনা ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement