ভাস্কর্য নির্মাণ না করে মসজিদ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার পৃথক কর্মসূচি থেকে তারা এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : সংগঠনের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর পৃথিবীতে আগমন হয়েছিল মূর্তিকে ধ্বংস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সা: কাবাঘরের পাশে থাকা সব মূর্তি ধ্বংস বা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। স্মৃতি ধরে রাখতে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামে হারাম। ভাস্কর্য ও মূর্তি এক ও অভিন্ন, এর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। মানুষ এটার পূজা করুক, আর না করুক ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য তৈরি করা হারাম।
গতকাল ডেমরায় খেলাফত আন্দোলনের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সির সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, মো: হাসানুজ্জামান, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা বেলাল হোসাইন প্রমুখ। মাওলানা হামিদী আরো বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মূর্তি নয়, স্থানে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করুন। মানুষ সেখানে ইবাদত মহান আল্লাহর ইবাদত করার কারণে বঙ্গবন্ধুর রূহ শান্তি পাবে, সওয়াব পাবে। আর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি হলে বঙ্গবন্ধুর কবরে আজাব হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত হিতাকাক্সক্ষীরা কখনো ভাস্কর্য-মূর্তিকে সমর্থন করতে পারে না।
ইসলামী আন্দোলন : দেশের কিছু জ্ঞানপাপী মূর্খরা ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের সব প্রসিদ্ধ আলেমরা একমত যে, ভাস্কর্য ও মূর্তির মধ্যে কোনো ব্যবধান নেই। একটা মানুষকে মাটি বা পাথর দিয়ে যে কোনোভাবে হুবহু মানুষ আকারে ধারণ করলে যার ছবি বা ছায়া পড়ে তার নাম মূর্তি। তাকে মানুষ পূজা করলেও মূর্তি, না করলেও মূর্তি। অথচ আমাদের দেশের কিছু জ্ঞানপাপী মূর্খ ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা