১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


নড়াইলে শিশু রমজান হত্যারহস্য উদঘাটন

চার আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন
-

নাম ব্যঙ্গ করে ডাকায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সিঙ্গা গ্রামে সাত বছরের শিশু রমজানকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে তার খালাতো বোন মীম আক্তার (১৩)। এ দিকে, হত্যার পর মামী পুতুল বেগম (৪০) রমজানের লাশ উঠান থেকে কোলে করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেন। আদালতে এমন জবানবন্দী দিয়েছে রমজানের খালাতো বোন মীম এবং সিঙ্গা গ্রামের ইউসুফ শেখের স্ত্রী পুতুল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাস জানান, পুতুল বেগম রোববার বিকেলে নড়াইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তিনি বলেন, মীম রমজানকে আমাদের বাড়ির উঠানে গলা চেপে হত্যার পর লাশ গুম করতে কোলে করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দিই। অন্য দিকে, গত শনিবার সন্ধ্যায় নড়াইল আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার কাছে দেয়া জবানবন্দীতে মীম জানায়, খালাতো ভাই রমজান তার নাম-‘মীম’ না ডেকে ‘ডিম’ বলে ব্যঙ্গ করত। দীর্ঘদিন ধরে ‘ডিম’ বলে ব্যঙ্গ করায় ঘটনার দিন গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে নানাবাড়িতে মীম রমজানকে মারধর করে। একপর্যায়ে রমজান উঠানে পড়ে গেলে মীম তাকে গলা চেপে ধরলে শিশু রমজান শ্বাসরোধে মারা যায়। রমজানের মৃত্যুর পর তার লাশ গুম করতে অন্যরা সহযোগিতা করে। মীম গত সোমবার নানাবাড়ি বেড়াতে আসার পর বুধবার দুপুরে (১৬ অক্টোবর) এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এসআই মিলটন কুমার দেবদাস আরো জানান, এ পর্যন্ত রমজানের বাবা ইলু শেখ, মামা ইউসুফ, মামী পুতুল বেগম, খালা লাকি বেগম, তার স্বামী হাবিবুর ও মেয়ে মীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার রাত ১১টার দিকে রমজানের মামী পুতুল বেগমের ঘর থেকে রমজানের ব্যবহৃত স্যান্ডেল ও বই উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দিকে রমজানের বাবা ইলু শেখ, মামা ইউসুফ, খালা লাকি ও খালু হাবিবুর রহমানের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শনিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করেন। তবে এখনো রিমান্ড শুনানি হয়নি। লোহাগড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, নানা বাড়ি থেকে ১৬ অক্টোবর সকালে স্কুলে যায় রমজান। স্কুল শেষে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। একপর্যায়ে বিকেলে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে রমজানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। সে লোহাগড়ার সিঙ্গা গ্রামের ইলু শেখের ছেলে এবং সিঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
রমজানের মা প্রায় চার বছর আগে অসুস্থতার কারণে মারা যান। রমজান সৎ মায়ের সংসারে বড় হচ্ছিল। রমজানের বাবার ও মামার বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় রমজান বেশির ভাগ সময় মামা বাড়ি থেকে রমজানের নানা হবিবর রহমান শেখ বাদি হয়ে গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অজ্ঞাত আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন (শনিবার) রমজানের খালাতো বোন মীমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সে রমজানকে হত্যার কথা স্বীকার। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, শিশু রমজান হত্যার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
আবারো ভারতের নির্বাচন তাপপ্রবাহের মুখে, সতর্ক করল আবহাওয়া ব্যুরো সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনব : নেতানিয়াহু বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু বোরোর ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী আত্মরক্ষার অধিকার বৈধতা দেয় না গণহত্যাকে চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহী সার্বিয়া ডিমের ডজন ১৫০ ছাড়িয়েছে, নাগালে আসছে না মাছ ও সবজি যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না : মার্কিন উপ-মুখপাত্র শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত

সকল