মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ও সদর ইউনিয়নে কয়েক দিনের ব্যবধানে ৫ম শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্থানীয়ভাবে দু’টি ঘটনা আপস-নিষ্পত্তির নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলে। কুলাউড়া থানায় গত ১৪ জুলাই একটি মামলা হয়েছে এবং অপরটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
কুলাউড়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে গত ১৯ জুন দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে পানির পিপাসা লাগলে গণকিয়া গ্রামের হারিছ আলীর বাড়ি যায়। এ সময় হারিছ আলীর ছেলের বউ সুলতানা বেগম পানি দিয়ে বাড়ির দক্ষিণ পাশে পুকুরে চলে যান। সেই সুযোগে হারিছ আলীর ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক আহাদ মিয়া (২৩) ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়। ওই স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি জানতে পেরে আহাদ মিয়ার বাবা হারিছ আলীর কাছে বিচারপ্রার্থী হন। কিন্তু আহাদ মিয়ার বাবা এ বিষয়ে কোনো সমাধান না করায় গত ১৪ জুলাই রোববার রাতে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে আহাদ মিয়াকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ দিকে উপজেলার কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের গাজীপুর চা বাগান এলাকায় প্রথম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে গত ১২ জুলাই দুপুরে ধর্ষণ করেছে খোকন রাজভর (৩২)। ওই স্কুলছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি জানাজানি হলে কতিপয় ব্যক্তি আপস-নিষ্পত্তির নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে কুলাউড়া থানার এসআই দিদার উল্লাহ ও এসআই সনক কান্তি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা