০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হোলে আর্টিজানে হামলা আরো তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

-

রাজধানীর গুলশানের হোলে আর্টিজানে হামলা মামলায় আরো তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন সমর রাম বাবুর্চি, জাইকার গাড়িচালক আব্দুর রাজ্জাক ও দারোয়ান নুরুল আলম। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। এ ছাড়া সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এ নিয়ে এ মামলায় চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর আগে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি ও গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস।
গত ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ উগ্রবাদী হামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
গত ২৩ জুলাই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং দু’জন পলাতক রয়েছেন। গত ৮ আগস্ট হোলে আর্টিজান মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন নামে দু’জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলোÑ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর। পলাতক দু’জন হলোÑ শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।
চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হলে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।
এ ছাড়াও বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন হোলে আর্টিজানেই নিহত হন।
নিহত পাঁচ হামলাকারী হলোÑ রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
বিভিন্ন অভিযানে নিহত আটজন হলো- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব:) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকোলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশী নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে উগ্রবাদীরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ উগ্রবাদী নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement