২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রিমান্ড শেষে হেফাজত নেতা জুনায়েদ ও শাখাওয়াত কারাগারে

হেফাজত নেতা জুনায়েদ ও শাখাওয়াত - ছবি সংগৃহীত

পল্টন থানার মামলায় রিমান্ড শেষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের আমির জুনায়েদ আল হাবিব ও সহকারি মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।

রিমান্ড শেষে আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল আসামি জুনায়েদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হবে। এরপর পল্টন ও মতিঝিল থানার দু’মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ তার বিরুদ্ধে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত পল্টন থানার মামলায় চার দিন এবং মতিঝিল থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এদিকে গত ৫ মে রিমান্ড শেষে শাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ২০১৩ সালের মতিঝিল ও পল্টন থানার দু’মামলায় তার সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। এসময় আসামি পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

গত ২২ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। একই সাথে মতিঝিলের দুই মামলা ও পল্টন থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ তার বিরুদ্ধে দশ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার তিন মামলায় সাত দিন করে ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগ থেকে মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি টিম।

২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়।

সম্প্রতি হেফাজত ইসলাম বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পল্টন, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এরপর এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য, একইসাথে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। পরে নিশ্চিত হওয়ার পরই সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল